চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি আজ ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ বেলা তিনটায় জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে গত এক বছরে দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও এবার পরিবর্তন আসছে না। এই বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকঋণের সুদহার ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া বিনিময় হার ব্যবস্থায়ও বড় পরিবর্তন আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগগুলো কাজে আসতে শুরু করেছে, মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদ হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি হয়। বাংলাদেশ নীতি সুদহার এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি, এর প্রয়োজনও আর হবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর পাশাপাশি আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফেরানো এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে, আগের মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ কারণে আপাতত নীতি সুদহার আর বাড়ানো হচ্ছে না। তবে শিগগির তা কমানোও হবে না।

গত ডিসেম্বরে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ভারসাম্যে বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল আছে। ডলারের দরও ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় স্থিতিশীল। এসব কারণে বড় কোনো পরিবর্তনের দিকে যাবে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ