সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান (আইবিও) চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর। খবর জিও টিভির।

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮-৯ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী দেরা ইসমাইল খান জেলার সাধারণ এলাকায় খোয়ারিজের উপস্থিতির ভিত্তিতে আইবিও পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এই অভিযানে তিন সন্ত্রাসী নিহত এবং অপর দুইজন আহত হয়েছেন।

এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মীর আলীর সাধারণ এলাকায় আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন খোয়ারিজ (সন্ত্রাসী) নিহত হন এবং তিনজন খোয়ারিজ আহত হন।

সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা যোগ করেছে, আরও সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছিল। বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের সাহসী সৈন্যদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

মূলত ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানরা বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটি সহিংস আক্রমণে বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ করায় এই অভিযানগুলো চালানো হচ্ছে। যা একটি টেকসই সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টার অংশ। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশটিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সন্ত্রাসী হামলার তীব্রতা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সময় দেশব্যাপী কমপক্ষে ৭৪টি জঙ্গি হামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ৩৫ জন নিরাপত্তা কর্মী, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ জন জঙ্গিসহ ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১৭ জন, যার মধ্যে ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং ১০ জন জঙ্গি রয়েছে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ