নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, পাকিস্তানে নিহত ৭
Published: 10th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান (আইবিও) চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর। খবর জিও টিভির।
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৮-৯ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী দেরা ইসমাইল খান জেলার সাধারণ এলাকায় খোয়ারিজের উপস্থিতির ভিত্তিতে আইবিও পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এই অভিযানে তিন সন্ত্রাসী নিহত এবং অপর দুইজন আহত হয়েছেন।
এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মীর আলীর সাধারণ এলাকায় আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন খোয়ারিজ (সন্ত্রাসী) নিহত হন এবং তিনজন খোয়ারিজ আহত হন।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা যোগ করেছে, আরও সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য অভিযান শুরু করা হয়েছিল। বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের সাহসী সৈন্যদের এই ধরনের আত্মত্যাগ আমাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।
মূলত ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানরা বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটি সহিংস আক্রমণে বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ করায় এই অভিযানগুলো চালানো হচ্ছে। যা একটি টেকসই সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টার অংশ। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশটিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সন্ত্রাসী হামলার তীব্রতা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ সময় দেশব্যাপী কমপক্ষে ৭৪টি জঙ্গি হামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে ৩৫ জন নিরাপত্তা কর্মী, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ জন জঙ্গিসহ ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১৭ জন, যার মধ্যে ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং ১০ জন জঙ্গি রয়েছে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল