২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি।

বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, জুন শেষে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। সরকারি-বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির নতুন এই লক্ষ্যমাত্রার ফলে সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধিও বাড়বে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুনে অর্থবছর শেষে সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ। ডিসেম্বর শেষে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ নতুন এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব সরক র দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

তিন মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, শোধ ১২৮ কোটি ডলার

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রায় ১১৫ কোটি ডলার দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ। অন্যদিকে একই সময়ে আগে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ প্রায় ১২৮ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। ইআরডির হিসাব অনুসারে, ঋণ শোধ বেড়েছে। পাশাপাশি অর্থছাড় ও প্রতিশ্রুতিও বেড়েছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে সব মিলিয়ে ১১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলার এসেছে। প্রায় পুরোটাই ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। মাত্র ১ কোটি ডলারের খাদ্যসহায়তা অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। গত বছর একই সময়ে এসেছিল প্রায় ৮৫ কোটি ডলার।

এদিকে ঋণ পরিশোধের পাল্লা ভারী হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বরে পরিশোধিত ঋণের মধ্যে ৮২ কোটি ডলার আসল এবং ৪৬ কোটি ডলারের বেশি সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ সরকারকে প্রায় ১১২ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল।

জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলারের। আগের বার একই সময়ে এর পরিমাণ মাত্র পৌনে তিন কোটি ডলার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার
  • শেষে এসে ‘বিপদে’ ওয়াসা
  • তিন মাসে বিদেশি ঋণ এসেছে ১১৫ কোটি ডলার, শোধ ১২৮ কোটি ডলার
  • রেমিট্যান্স ২৯ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম