ক্লিপটন গ্রুপের মালিকের ‘নীলাঙ্গন’ বাসভবন ক্রোকের নির্দেশ
Published: 10th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে বেসিক ব্যাংকের ৬৯ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মামলায় গ্যারান্টার ও ক্লিপটন গ্রুপের মালিক এম কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সার্সন রোডের ‘নীলাঙ্গন’ বাসভবন ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের জজ মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। ওই বাড়ি ও সম্পদের মূল্য ৫০ কোটি টাকা।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, ব্যাংক তাদের ঋণের অর্থ আদায়ে গ্যারান্টার ক্লিপটন গ্রুপের মালিকের বাড়ি ও জায়গা ক্রোক করার আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করেন। এখন বিধি অনুযায়ী ব্যাংকের কাছে এটি ক্রোক অবস্থায় থাকবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বেসিক ব্যাংক থেকে ৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় এম আর এফ এসেনশিয়াল ট্রেড লিমিটেডের মালিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে অর্থ ঋণ মামলা হয়। নগরীর জুবলী রোড শাখা থেকে নেওয়া এই ঋণের প্রধান গ্রহীতা সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা মুরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম এবং তাঁর ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। ক্লিপটন গ্রুপের মালিককে গ্যারান্টার করা হয়। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে এই ঋণ সুবিধা নেন তারা। ধাপে ধাপে ৪০ কোটি টাকার এলসি সুবিধাও দেওয়া হয়। কিন্তু ঋণ পরিশোধ না করায় গ্যারান্টারের সম্পদ ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করে ব্যাংক। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংকের আবেদন মঞ্জুর করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।
তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা