Samakal:
2025-05-01@09:56:15 GMT

মোহামেডান যেন বরিশালের ছায়া দল

Published: 11th, February 2025 GMT

মোহামেডান যেন বরিশালের ছায়া দল

বিপিএল শেষ হয়েছে গেল শুক্রবার। একাদশ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। তবে আলোচনাতে এখনো দেশের ক্রিকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক বড় আসর এরই মাঝে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) কড়া নাড়ছে দরজায়। চলতি মাসের ২২ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের দলবদল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসের ৩ তারিখ মাঠে গড়াবে খেলা।

গত আগস্টে রাজনৈতিক পালা বদলের পর ক্রিকেটেও যে এর প্রভাব পড়বে তা জানাই ছিল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দলবদলের দিকে তাকালে তা স্পষ্ট হয়। এবার শক্তিশালী দল গড়ছে মোহামেডান। অথচ এক বছর আগেও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের দলবদলে প্রচণ্ড দাপট ছিল আবাহনীর। ইসমাইল হায়দার মল্লিকরা চাইলে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারকে খেলতে হতো দলটিতে। তাদের রিজার্ভ বেঞ্চে যে পরিমাণ বড় তারকা থাকতেন, মোহামেডানের পুরো স্কোয়াডে তা থাকতেন না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে পাশার দানও উল্টে গেছে। টাকার অভাবে আবাহনী বড় দল গড়তে পারছে না।

সেই সুযোগে শক্তিশালী দল বানাচ্ছে মোহামেডান। মূলত বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটারদেরই টেনে নিচ্ছে সাদা-কালো শিবিরের দল। নামিদামি সব ক্রিকেটার নিয়েছে তারা। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়দের ডেরা এখন মতিঝিলের ক্লাবটিতে। সেদিক থেকে বলতেই পারেন, সময় এখন মোহামেডানের। বহু বছর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়েছে তারা। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়দের ডেরা এখন মতিঝিলের ক্লাবটিতে। সেদিক থেকে বলতেই পারেন, সময় এখন মোহামেডানের। বহু বছর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়েছে তারা। ক্লাবপাড়ার গুঞ্জন, মোহামেডান এবার ৭ কোটি টাকার দল। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো তারকা ক্রিকেটার নিয়েছে দলটি।

ক্রিকেটারদের দলে টানলেও দলবদল না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) থেকে জানা গেছে, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দলবদল অনুষ্ঠিত হবে। লিগের খেলা মাঠে গড়াবে ৩ মার্চ থেকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও বিকেএসপিতে হবে খেলা। ৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাবগুলোর সঙ্গে সিসিডিএম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়াই লিস্ট-এ ক্রিকেট শুরু হবে।

মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড: তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, রনি তালুকদার, মাহিদুল ইসলাম অংকন, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, আরিফুর ইমলাম ইথুন, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ত ম ম ইকব ল এখন ম

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ