জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। এ দিন শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, কামরুল ইসলামের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখা এবং ১৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্য তা রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করে দুদকের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, তাঁর বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ ও তাঁদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

মহিউদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি বৈধভাবে ৫৫ কোটি ২০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৪ টাকা আয় করেছেন। এর মধ্যে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৬৩৭ টাকা। ব্যয় বাদ দিলে তাঁর কাছে ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু অনুসন্ধানে মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও তাঁর স্ত্রী মারজিয়া আখতার সুমার ভোগদখলে ৩৯ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যা বৈধ আয়ের তুলনায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ টাকা বেশি। অনুসন্ধানে এ অতিরিক্ত সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মেয়রের স্ত্রী মারজিয়া আখতারের ভোগদখলে স্বামীর আয়বহির্ভূত ২ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। স্বামীর অবৈধ সম্পদ নিজের ভোগদখলে রাখার অভিযোগে তাঁকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সাবেক মেয়রের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দুদক বলেছে, তিনি বৈধভাবে ৫৭ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা আয় করেছেন। পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫ টাকা। ব্যয় বাদ দিলে তাঁর কাছে ৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৮ টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু অনুসন্ধানে আবুল কালাম আজাদ ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগম রুবির ভোগদখলে ৬০ কোটি ৫৩ লাখ ৭১ হাজার ৪০৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এটি বৈধ আয়ের তুলনায় ২৬ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ৬০৫ টাকা বেশি। এ অতিরিক্ত সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

দুদক আরও জানিয়েছে, গৃহিণী আকলিমা বেগমের ভোগদখলে ১ কোটি ৯০ লাখ ১৮ হাজার ২৩৭ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। স্বামীর অবৈধ সম্পদ দখলে রাখার অভিযোগে তাঁকেও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুটি মামলার বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়ে মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা