চট্টগ্রামে ‘কাপল ডান্স পার্টিতে’ অভিযান, আটক ২৫
Published: 12th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে অবৈধভাবে পরিচালিত ‘কাপল ডান্স পার্টিতে’ অভিযান চালিয়ে ২৫ নারী ও পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। সেখান থেকে ৭০ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকায় এয়াকুব ট্রেড সেন্টার নামক একটি ভবনের সপ্তম তলা থেকে এসব নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম জানান, অবৈধভাবে মাদকের আড্ডা জমিয়ে কাপল ডান্স পার্টি পরিচালনার খবরে পুলিশ এয়াকুব ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায়। ভবনটির সপ্তম তলা থেকে কাপল ডান্স পার্টি চলমান অবস্থায় ২৫ নারী-পুরুষকে আটক করে পুলিশ। এসময় সেখান থেকে ৭০ ক্যান বিয়ার ও একজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের পাঁচলাইশ মডেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরো পড়ুন:
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৬০৭
চুরির অভিযোগে একজনকে গণধোলাই, পরে পুলিশে সোপর্দ
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।