ইংরেজিতে দক্ষ হলেও ফরাসি, চীনা, জার্মান, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ ইত্যাদি ভাষা বুঝতে সমস্যা হয় অনেকের। ফলে ভিন্ন ভাষায় কথা বলা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার সময় ভাষা জটিলতায় পড়েন অনেকেই। ভিডিও কলে কথা বলার সময় এ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সবচেয়ে বেশি। আর তাই ভিডিও কলে ভিন্ন ভাষার মানুষের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কথা বলার সুযোগ করে দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে টালো এআই। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি টালো অ্যাপ সরাসরি গুগল মিট ও মাইক্রোসফট টিমসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৎক্ষণাৎ এক ভাষার কথা অন্য ভাষায় অনুবাদ করতে পারে।

এআইভিত্তিক অনুবাদপ্রযুক্তি ইতিমধ্যেই স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এআইয়ের মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সেগুলো নির্দিষ্ট স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়। তবে টালো আলাদা একটি অ্যাপ এবং এটি যেকোনো স্মার্টফোন বা প্ল্যাটফর্মে সমানভাবে কাজ করতে সক্ষম।

প্রাথমিকভাবে টালো অ্যাপ ৩২টি ভাষা সমর্থন করে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, এটি উন্নত অডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ফলে মনে হবে, ব্যবহারকারীরা যেন একই ভাষায় কথা বলছেন। ভবিষ্যতে অ্যাপটিতে ১০০টির বেশি ভাষা যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

টালো এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্তন সেলিখভ বলেন, ‘আমার আগের সফটওয়্যার ২০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী ব্যবহার করতেন। কিন্তু ভাষার কারণে প্রত্যেকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ত। সেই চ্যালেঞ্জ দূর করতেই টালো অ্যাপ তৈরি করেছি। এটি ভিডিও কলে রিয়েল টাইম অনুবাদ করতে পারে।’

সূত্র: বিজিআর

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ড ও কল ব যবহ র অন ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ