হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর এক পিতা আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আতিকপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুর রউফ (৩০) এবং তার দুই কন্যা খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আব্দুর রউফ ব্যবসায় লোকসান খেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে প্রায়ই তার স্ত্রী হাফিজা আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া হতো। এরই একপর্যায়ে স্ত্রী এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। এতে অভিমান করে আব্দুর রউফ তার দুই কন্যাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন এবং পরে নিজেও বিষপান করেন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রউফ ব্যবসায় লোকসানের কারণে পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করেন এবং ধার-দেনা করে পরিবার চালাতেন। দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকট ও পারিবারিক কলহ তাকে চরম হতাশার দিকে ঠেলে দেয়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ