চুনারুঘাটে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে দুই সন্তানকে হত্যা, ঋণগ্রস্ত পিতার আত্মহত্যা
Published: 14th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর এক পিতা আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আতিকপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুর রউফ (৩০) এবং তার দুই কন্যা খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আব্দুর রউফ ব্যবসায় লোকসান খেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে প্রায়ই তার স্ত্রী হাফিজা আক্তারের সঙ্গে ঝগড়া হতো। এরই একপর্যায়ে স্ত্রী এক সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। এতে অভিমান করে আব্দুর রউফ তার দুই কন্যাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেন এবং পরে নিজেও বিষপান করেন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রউফ ব্যবসায় লোকসানের কারণে পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করেন এবং ধার-দেনা করে পরিবার চালাতেন। দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকট ও পারিবারিক কলহ তাকে চরম হতাশার দিকে ঠেলে দেয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’