Samakal:
2025-06-15@11:16:25 GMT

ফেনী নদীর বাঁক সোজা করার দাবি

Published: 15th, February 2025 GMT

ফেনী নদীর বাঁক সোজা করার দাবি

ফেনী নদীর ভাঙনে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙন রোধে স্থানীয়রা নদীর বাঁক সোজাকরণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন।
‘আগে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন থেকে নদী ছিল আরও দুই কিলোমিটার পূর্বে মিরসরাইয়ের দিকে। কিন্তু ভাঙনের কারণে নদী এখন আমিরাবাদ ইউনিয়নে ঢুকে পড়েছে; স্কুল, মাদ্রাসা, বাড়িঘর সব ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। আমার দুই কানি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।’ কথাগুলো বলছেন, ‘সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হালিম। 
একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ওমর কাজি মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের ১২ কানি জমি ছিল তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। কাগজের দলিলে থাকা বাড়িঘর, মুরগির খামার, গরুর খামার ও ফসলি জমি সবকিছু নদীতে চলে গেছে। নদীর পাড়ে যে বাড়িঘরগুলো দেখছেন এগুলো সব সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা। বর্তমানে দুই কানি জমি অবশিষ্ট আছে আমাদের, তা দিয়ে কোনো রকম জীবনযাপন করছি।’
স্থানীয় কৃষক মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘নদীর মাঝখানে মিরসরাই উপজেলার লোকজনের মৎস্য প্রকল্পের কারণে নদীর পূর্ব অংশের পানির চাপে পশ্চিম অংশে ভাঙন তীব্র হয়েছে। আমার তিনবার বাড়িঘর ভেঙেছে। ফেনী অংশের লোকজনকে বাঁচাতে বাঁকা নদী সোজা করতে হবে।’
নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসী নদীর পাড়ে দফায় দফায় মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তারপরও কোনো কাজ হচ্ছে না।
আমিরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নদীর পাড়ে যেখানে দাঁড়িয়েছি, সেখান থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে ফসলি জমি ছিল। নদীর পূর্বে পাশে মিরসরাইয়ের লোকজন নদীর পাড়ে মাছ চাষ করছেন। তারা নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে চর দখলে নেওয়ায় পানি পশ্চিম দিকে গড়িয়ে ফেনীর অংশে যাচ্ছে এবং নদী ভেঙে যাচ্ছে। বাঁকা নদী সোজা ও খনন করার জন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। কিন্তু তা করছে না। দ্রুত কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান বলেন, ‘মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর ভাঙন নিয়ে গবেষণা চলছে। নদীর পূর্ব পাশে বিশাল চর জেগেছে। সরকার এ চরকে কীভাবে সঠিক ব্যবহারে আনতে পারে সে বিষয়ে আমরা রিপোর্ট দেব। আশা করছি নদী খনন ও বাঁকা নদী সোজা করে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারব।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ ব ড় ঘর

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা দিবসে শাকিব খানের দুই রাজপুত্র ভাইরাল!

একদিকে হারমোনিয়ামে সুরের ঝরনা, অন্যদিকে কৌতুক ছড়ানো করপোরেট জবাব—এই দুয়ে মিলে রীতিমতো ভাইরাল ‘বাবা দিবস স্পেশাল’ হয়ে উঠলেন ঢালিউডের কিং শাকিব খান ও তার দুই ছেলে, জয় ও বীর।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে বাবা দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দুটি আলাদা ভিডিও। একটির নায়ক বড় ছেলে আব্রাম খান জয়, অন্যটি তার ছোট ভাই শেহজাদ খান বীর। 

জয়ের ভিডিওটি এসেছে মায়ের (অপু বিশ্বাস) ব্যবস্থাপনায় চালিত ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখা যায়, ছোট্ট জয় বাবার পাশে বসে হারমোনিয়ামে গান করছে। ক্যাপশনে লেখা, “আমার অসাধারণ বাবাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সেরা বাবাকে নিয়ে উদযাপন করছি।”

ভিডিওতে স্পষ্ট—শাকিব শুধু বড় পর্দার তারকা নন, জয়ের কাছে তিনিই তার জীবনের সুর।

আরো পড়ুন:

পাইরেসির কবলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’!

সিরাজগঞ্জে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ নেই আশানুরূপ দর্শক

অন্যদিকে বীরের মজার ভিডিওটি এসেছে তার মা বুবলীর পেজ থেকে। ক্যামেরার সামনে বাবা শাকিব জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাবা কে?’ বীর বলে, ‘থালাইবা...’ শাকিব আবার জানতে চান, ‘আমরা কোন গ্রুপের মালিক?’ উত্তরে বীর বলে, ‘এসকে গ্রুপ।’ এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, “যেমন বাবা তেমন ছেলে। বাবার ভালোবাসা সবসময় ছেলের হৃদয়ে অঙ্কিত থাকবে।” 

এই দুটি ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন এবং মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা ও প্রশংসায়। অনেকেই বলছেন— “শাকিব যেমন সুপারস্টার, তেমনই সুপারড্যাড। ব্যস্ততার মাঝেও ছেলেদের সময় দেওয়া যে কারো পক্ষে সম্ভব, শাকিব সেটার সুন্দর উদাহরণ।” 

এদিকে, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ সিনেমা এখনো প্রেক্ষাগৃহে সগৌরবে প্রদর্শিত হচ্ছে। শাকিব খান এখন যেন দুই ফ্রন্টেই রাজত্ব করছেন—একদিকে সিনেমা হলে, আরেকদিকে দুই ছেলের হৃদয়ে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ