কিছু বছর আগেও কনটেন্ট ক্রিয়েটকে তেমন কোনো পেশা বলেই মনে করা হতো না। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এটি বেশ জনপ্রিয় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মতো পেশা। তেমনই একজন পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ওমর। যিনি ২০১৯ সাল থেকে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে আসছেন। তিনি মজার ভিডিও, ব্লগ এবং শর্ট রিলস তৈরি করেন, যা সব বয়সের মানুষ পছন্দ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওমরের জনপ্রিয়তা বেশ ভালো। ওমরের ফেসবুক পেজে ৬.

৫ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৬ লাখের বেশি, যেখানে তিনি নিয়মিত ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেন।

এছাড়া, ইউটিউবে তার ৩.৫ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি মুভি চরিত্র নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন, রিভিউ দেন এবং শর্ট ভিডিও বানান। ইংরেজিতে তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘ওমর অন ফায়ার’।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ওমরের যাত্রাটা সহজ ছিল না। তিনি ৮টির বেশি ফেসবুক পেজ হারিয়েছেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে সমস্যা হওয়ার কারণে ২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের একটি ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এছাড়া, তিনি তিনটি ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করেন।

ওমর বলেন, ‘এই পথচলা একদম সহজ ছিল না। কনটেন্ট ক্রিয়েশন অনেক কঠিন, কারণ যখন আপনি জনপ্রিয় হতে থাকবেন, তখন কিছু মানুষ ইচ্ছে করে আপনাকে ফেক কপিরাইট দিয়ে সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু আমার দর্শকরা আমার পাশে আছে, ভালোবাসা দিচ্ছে, এটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’

ওমর তার মা ও নানির কাছে বড় হয়েছেন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে থেকেও তিনি নিজের স্বপ্নকে ছাড়েননি। তার কনটেন্ট তৈরি করার প্রতি ভালোবাসা তাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘এখন আলহামদুল্লাহ কনটেন্ট ক্রিয়েট করেই আমি স্বাবলম্বী। আগে যারা আমাকে তাচ্ছিল্য করতেন তারাই এখন আমার থেকে পরামর্শ নেন।’ ওমর জানান, কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তার মুনাফা দিয়েই বেশ ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

ভবিষ্যতে, ওমর কনটেন্ট ক্রিয়েশনের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনট ন ট ক র য় ট

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি

শোবিজের একঝাঁক একঝাঁক অভিনয়শিল্পীকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রথমে ইরেশ যাকের, তারপর সুবর্ণা মুস্তাফা, অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করে রাজধানীর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

সিদ্দিকের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনা ঘটনা নিয়ে আজাদ আবুল কালাম গণমাধ্যমে বলেন, “সিদ্দিকের সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তো মব। এই মব ভায়োলেন্সকে তো ঠেকাচ্ছে না। কেন যেন মনে হচ্ছে, মব ভায়োলেন্সকে নীরবে বলা হচ্ছে, করে যাও। আমাদের কিছুই করার নেই। একজনের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা থাকতে পারে। অভিনেতা হিসেবে সিদ্দিক সবার কাছে পরিচিত। কিছু লোক তাকে এভাবে রাস্তায় ধরে মেরে দেবে!”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “দলবদ্ধভাবে সিদ্দিককে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, আক্রমণ করেছে, গায়ে থেকে জামাকাপড় খুলে ফেলেছে, এরপর থানায় সোপর্দ করেছে। থানায় যদি সোপর্দ করতেই হয়, তাহলে প্রথমে কেন আইন হাতে তুলে নিল? তাকে হেনস্তা করে আইনের হাতে তুলে দেবে— এই মব জাস্টিস, মব ভায়োলেন্স সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এটা তো একটা সময় নানা স্তরে হবে। এসব কর্মকাণ্ড সরকারকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে মব ভায়োলেন্স, সেখানে কঠোর হস্তে দমন করবে।”

ঢালাওভাবে অভিনয়শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়ে বিস্মিত আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “ঢালাওভাবে হত্যা মামলা হচ্ছে! দেখে মনে হচ্ছে, সবাইকে মামলার মধ্যে ফেলতে হবে। ৩০০-৪০০ জন মামলার আসামি, এটা অবাস্তব একটা অবস্থা। একজন সুবর্ণা মুস্তাফার মতো শিল্পী রাস্তায় গিয়ে মানুষকে গুলি করবে? যে মানুষটি মামলা করেছেন, তিনি আন্দোলনের সময় আহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন; তিনি মামলা করেছিলেন অনেক লোকের নামে। মামলার নথিতে শিল্পীদের অনেকের নাম দেখলাম, তারা রাস্তায় নেমে মানুষকে গুলি করবে!”

সরকারিভাবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা উচিত বলে মনে করেন আজাদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, “সরকারিভাবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত হবে এ ধরনের মামলাকে প্রতিরোধ করা। নিরুৎসাহিত করা। যে ব্যক্তি মামলা করছেন, যদি প্রমাণিত হয়, শিল্পীরা কেউই গুলি করেনি, তখন তো এটা মিথ্যা মামলা হবে। এ রকম মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি শিল্পীদের নামে মামলা করেছেন, তার কী শাস্তি হবে, তারও বিধান থাকতে হবে।”

“কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, তা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। শুধু শিল্পী না, একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আপনি তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগপর্যন্ত তাকে অপরাধী বলতে পারেন না। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে পারেন না। মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা শুরু করলেন, এই প্রক্রিয়া যদি চলতে থাকে, এটাই যদি আমাদের মনস্তত্ত্ব হয়, তাহলে বিভক্তি আরো বাড়বে।” বলেন আবুল কালাম আজাদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • সেলফি’র ধাক্কায় গণস্বাস্থ্যের কর্মীর মৃত্যু, ৬ বাস আটক
  • পেহেলগামে হামলার পর প্রতিশোধের আশঙ্কায় দিন কাটছে ভারতীয় মুসলিমদের
  • প্রথম আলোর সাংবাদিককে বৈষম্যবিরোধী নেতার হুমকি, থানায় জিডি
  • গাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, হাতুড়িপেটায় একজন নিহত
  • সিদ্দিককে মারধর ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে মামলা, যা বললেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি