এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির একমাত্র দল ভারত, যারা পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছে না। রোহিত শর্মাদের সব ম্যাচ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হলেও কিছু ম্যাচ দুবাইয়ে হওয়ার কারণও ভারতই। এমনকি আইসিসি টুর্নামেন্টের আগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কেরা আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নিলেও ভারতের রোহিত সেখানে যাচ্ছেন না।

এমন প্রেক্ষাপটে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে দেখা গেল অন্য চিত্র। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নেওয়া ৮ দলের মধ্যে ৭ দলেরই পতাকা লাগানো হয়েছে স্টেডিয়ামে। নেই শুধু ভারতের পতাকা। কেউ কেউ বলছেন, ভারত ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে না বলেই পিসিবি ভারতের পতাকা রাখেনি। যদিও এ বিষয়ে পিসিবির আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেডিয়ামে মিডিয়া ভবনের ছাদে স্ট্যান্ড ব্যবহার করে বেশ কিছু পতাকা লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের পতাকা উড়তে দেখা যায়। ভারতের হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, ভিডিওগুলো লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামের। সেখানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের পতাকা আছে। কিন্তু ভারতের তেরঙা পতাকা নেই।

নেওয়াজ নামে এক্স ভেরিফায়েড এক ব্যবহারকারী করাচির ভিডিও উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘করাচিতে ভারতের পতাকা নেই, নিরাপত্তা শঙ্কা দেখিয়ে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে না আসা একমাত্র দল যারা। পিসিবি অন্যান্য অতিথি দেশের পতাকা রাখলেও ভারতের পতাকা সরিয়ে ফেলেছে।’

পোস্টে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে সাধুবাদও জানিয়েছেন তিনি।

হিন্দুস্থান টাইমস লিখেছে, গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা না রাখাকে সমর্থকেরা বিসিসিআইয়ের পাকিস্তানে দল না পাঠানোর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জবাব হিসেবে দেখছেন।

সরকারের অনুমতি না থাকায় বিসিসিআই ভারত ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে পাঠাবে না জানানোর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ঘিরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে সূচিও ঘোষণা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিসহ পাকিস্তান ও ভারতে আয়োজিত সামনের চারটি আসর ‘হাইব্রিড মডেলে’ আয়োজনের সমঝোতায় নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারত ক্রিকেট দল পাকিস্তানে যাবে না বলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির একটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল কোথায় হবে, এখনো নিশ্চিত হয়নি।

এবারের আসরে ভারত খেলছে ‘গ্রুপ-বি’তে। যেখানে ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এই গ্রুপের অপর দুই দল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বুধবার করাচিতে এ দুই দলের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসর।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। 

আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। 

‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়। 

পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল। 

ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র‌্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র‌্যাঙ্কিং ৫৫)। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না। 

প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।

এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ। 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্মীদের জন্য গার্ডিয়ানের ওয়ার্কশপ
  • জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিল জাবি
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ 
  • ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে ২ দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালা