পাকিস্তানে বন্যা-ভূমিধসে ১৯৪ জনের মৃত্যু, ত্রাণের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত
Published: 15th, August 2025 GMT
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানায়।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) বলেছে, বন্যা ও ভূমিধসে পাহাড়ি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ৯ জন এবং উত্তরাঞ্চলীয় গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে পাঁচজন মারা গেছেন।
বন্যাকবলিত কিছু এলাকায় মুঠোফোন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গিলগিট-বালতিস্তানে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বন্যার পানি প্রবেশ করলে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্যোগকবলিত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় দুজন পাইলটসহ পাঁচ আরোহী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে উদ্ধার ও ত্রাণকার্যের অগ্রগতি পর্যালোচনায় একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২১ আগস্ট পর্যন্ত ওই এলাকায় মাঝেমধ্যে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনডিএমএর তথ্য অনুযায়ী গত ২৬ জুন থেকে পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৫০৭ জন মারা গেছেন, যাঁদের মধ্যে ১৫৯টি শিশু রয়েছে। এ সময় আরও ৭৬৮ জন আহত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসই ও সিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। সোমবার সকালে ডিএসইএক্স সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর থেকে সূচকের উত্থান দেখা যায়। লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪২.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫.২৯ পয়েন্ট বেড়ে ১০০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৯.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২২টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৮.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ২৮৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪১.৬৯ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৫.১১ পয়েন্ট কমে ৮৪৫ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৬.৮৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১১৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৫৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টির।
সিএসইতে ১৪ কোটি৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/রফিক