সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের শান্তিরক্ষায় দেশটিতে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার।

এদিন প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, আমরা যদি ভবিষ্যতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও আগ্রাসন আটকাতে চাই, তাহলে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

স্টার্মার আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত, প্রয়োজনে সেখানে আমাদের নিজস্ব সেনা মোতায়েন করতেও রাজি আছি। এটি আমি হালকাভাবে বলছি না। ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকির মধ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্তের গুরুদায়িত্ব আমি গভীরভাবে অনুভব করি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানেই ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তবে সাবেক ব্রিটিশ সেনাপ্রধান লর্ড ড্যানাট জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তারা ইউক্রেনে কোনো সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করতে পারবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখতে প্রায় এক লাখ সেনা দরকার হবে, যেখানে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অন্তত ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা লাগবে, যা বর্তমানে সম্ভব নয়।

ট্রাম্পের ভূমিকা ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্টার্মার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি সম্ভব নয়, কারণ কেবল যুক্তরাষ্ট্রই পুতিনকে প্রতিরোধ করতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সৌদি আরবে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনা শুরু করা হবে।

ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও তিনি তার পরিকল্পনার ব্যাপারে অবহিত করেছেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কিনতে পারে, সে ব্যবস্থা করবেন।

স্টার্মার সতর্ক করে বলেছেন, আমরা এমন এক পরিস্থিতি চাই না যেখানে আফগানিস্তানের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে কাবুল সরকারকে উপেক্ষা করেছিল। আমি নিশ্চিত যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এটি এড়াতে চাইবেন।

সূত্র: বিবিসি

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ