মেয়াদহীন পণ্য ব্যবহারে পাবিপ্রবি সিওয়াইবির হুশিয়ারী
Published: 17th, February 2025 GMT
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন রোধ এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) যুব শাখা কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশের (সিওয়াইবি) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় পাবিপ্রবি গেট সংলগ্ন দোকানগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন দোকানে পণ্য যাচাই করা হয়।
এ সময় কিছু দোকানে মেয়াদ উল্লেখহীন পণ্য ও খাদ্য শনাক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয় এবং দোকানিদের সতর্ক করা হয়। দোকানে নির্ধারিত পণ্যের মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মেয়াদহীন পণ্যের ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি জানানো হয়।
এছাড়াও কিছু দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করা, নোংরা পাত্রে খাবার রাখা, ব্যবহৃত তেলের মান ও পুনর্ব্যবহারের বিষয়টি যাচাই করা এবং পাম তেল ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিওয়াইবির পাবিপ্রবি শাখার সভাপতি আলফি সানি, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আতিক, সহ-সভাপতি তাহমিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ, প্রচার সম্পাদক রওনক আফরিন ইমা, সহ-ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সম্পাদক মোহা.
অভিযান নিনয়ে আলফি সানি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার পায়। অনেক দোকানদার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করেন, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।”
তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব এবং সবাইকে সচেতন করে তুলব। কোন ব্যবসায়ী যদি বারবার নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম