ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন রোধ এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) যুব শাখা কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশের (সিওয়াইবি) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় পাবিপ্রবি গেট সংলগ্ন দোকানগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন দোকানে পণ্য যাচাই করা হয়।

এ সময় কিছু দোকানে মেয়াদ উল্লেখহীন পণ্য ও খাদ্য শনাক্ত করে নিষিদ্ধ করা হয় এবং দোকানিদের সতর্ক করা হয়। দোকানে নির্ধারিত পণ্যের মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষকে মেয়াদহীন পণ্যের ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি জানানো হয়।

এছাড়াও কিছু দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার সংরক্ষণ করা, নোংরা পাত্রে খাবার রাখা, ব্যবহৃত তেলের মান ও পুনর্ব্যবহারের বিষয়টি যাচাই করা এবং পাম তেল ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিওয়াইবির পাবিপ্রবি শাখার সভাপতি আলফি সানি, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আতিক, সহ-সভাপতি তাহমিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ, প্রচার সম্পাদক রওনক আফরিন ইমা, সহ-ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সম্পাদক মোহা.

মেরাজুল ইসলাম, সহ-মানবাধিকার সম্পাদক আদনান বিন সিদ্দিক, কার্যনির্বাহী সদস্য তাসনিম ইসলাম সাবা প্রমুখ।

অভিযান নিনয়ে আলফি সানি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আমরা চাই, শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার পায়। অনেক দোকানদার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করেন, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।”

তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব এবং সবাইকে সচেতন করে তুলব। কোন ব্যবসায়ী যদি বারবার নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

র‍্যাংকিংয়ে মিরাজ-জাকেরদের অগ্রগতি

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দারুণ পারফর্ম করলেও এখনও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ২০-এ জায়গা হয়নি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। তবে দলগতভাবে বেশ কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছেন জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল, বোলিংয়ে বড় ধাপ এগিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের হয়ে সিরিজ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ব্যাটে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি বোলিং র‍্যাংকিংয়ে ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে তিনি এখন আছেন তিন নম্বরে।

ব্যাটিংয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি হয়েছে জাকের আলী, শান্ত ও মুমিনুল হকের। দুটি ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রান করে মুমিনুল এগিয়েছেন ৫ ধাপ, এখন অবস্থান ৪৮তম। জাকের আলী এগিয়েছেন ১০ ধাপ, অবস্থান ৫০তম। শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৫৩তম স্থানে।

অন্যদিকে সিরিজে অসাধারণ পারফর্ম করে জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি উঠে এসেছেন র‍্যাংকিংয়ের সেরা ১৫ বোলারের তালিকায়। প্রয়াত হিথ স্ট্রিকের পর তিনিই প্রথম জিম্বাবুইয়ান বোলার হিসেবে টেস্ট রেটিংয়ে ছুঁয়েছেন ৭০০ পয়েন্টের মাইলফলক। বাংলাদেশ সফরেই তার এই অর্জন। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের ব্রায়ান বেনেট দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ ১০০-র মধ্যে ঢুকেছেন।

বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এখনও তালিকায় আছেন লিটন দাস, যদিও সিরিজে না থাকায় তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম। ফর্মহীনতায় ভোগা মুশফিকুর রহিম নেমে গেছেন ৪০তম স্থানে। বোলিং র‍্যাংকিংয়ে মিরাজের আগেই আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম, যার অবস্থান ২৩তম। এছাড়া সাকিব আল হাসান এখনো শীর্ষ ৫০-এ আছেন, তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১ নম্বরে।

অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে জায়গা ধরে রেখেছেন সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার নিয়মিত মুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ