ভাইয়েরা আমার আইসেই তো গরম ভাত পাইছেন: হাবিব উন নবী খান
Published: 17th, February 2025 GMT
‘বিএনপি কোনো পোস্ট দিলেই তারা লিখেন, এত দিন তো কিছুই করতে পারেননি। ওনাদের বলি, ভাইয়েরা আমার আইসেই তো গরম ভাত পাইছেন। গরম ভাত কিন্তু এত সহজেই তৈরি হয় না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’ আজ সোমবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এ কথা বলেন।
দেওয়ানগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পাঁচ বছর পর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। প্রথম অধিবেশনে কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতা এবং স্থানীয় নেতারা বিকেল পর্যন্ত বক্তব্য দেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘একটা গোষ্ঠীর কথা বলি। বিএনপি কোনো পোস্ট দিলেই। তাঁরা লিখেন, এত দিন তো কিছুই করতে পারেননি। ওনাদের বলি, ভাইয়েরা আমার আইসেই তো গরম ভাত পাইছেন। গরম ভাত কিন্তু এত সহজেই তৈরি হয় না। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখনো রাতে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এই বুঝি দরজায় কেউ আঘাত করল, কেউ এসে ধরে নিয়ে যাবে, জেলে নিয়ে যাবে, কেউ আমাদের ধরে নিয়ে হত্যা বা গুম করবে। আমাদের মা–বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের কী হবে? এখন এটি দুঃস্বপ্ন হলেও কয়েক মাস আগেও এটাই ছিল বাস্তবতা। এই সুন্দর পৃথিবীটাকে সবাই ভালোবাসে। আমরাও ভালোবাসি। আমরাও বেঁচে থাকতে চাই। শুধু বিএনপি করার অপরাধে এবং হাসিনার স্বৈরতন্ত্রের বিরোধিতা করার অপরাধে আমাদের অনেকের মা–বাবা, স্ত্রী–সন্তানদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গুম ও হত্যা করা হয়েছে।
হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘আপনারা যাঁরা আজকে বলেন, জানের ভয়ে ছাত্রলীগ করেছি। আমরা কিন্তু বিএনপি করেছি এবং হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছি। আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমেই কিন্তু হাসিনা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ছিল। যখনই আমাদের তারেক রহমান ও নেত্রী জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন, তখনই কিন্তু বাংলার জনগণ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই। ভোটার দেখা যেত না আমাদের আহ্বানে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন সরকার পুরো জনবিচ্ছিন্ন, তখন ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিলেন সাধারণ মানুষ, অন্য দলগুলো এবং পরিশেষে অভিভাবক ও তাঁদের সন্তানেরা। সবাই মিলে যখন রাজপথে নামল, তখন হাসিনার পতন হলো। সুতরাং নিজেরা অনেক কিছু ভাববেন না। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে চাই। আমরা নিজেদের মধ্যে এমন কিছু যাতে না বলি, নিজেদের মধ্যে যাতে ভুল–বোঝাবুঝি না হয়। যা বাস্তবতা, তা মেনে নিতে হবে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘যতই বলেন, ছাত্র আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা নেই। আমরা তো সেই দিনও শহীদদের নামের তালিকা দিয়েছি। তাঁরা কি এমনি এমনি জীবন দিয়েছেন? হয়তো আন্দোলনের স্বার্থেই আমরা সংগঠনের ব্যানার বা নাম ব্যবহার করিনি। আন্দোলনের প্রতিটি পরতে পরতে বিএনপি ও এর সহযোগী দল ছিল। সুতরাং এসব প্রসঙ্গ তুলবেন না। আর অযথা বিএনপির বিরুদ্ধে এসব সমালোচনা বন্ধ করুন। এটি কারও জন্যই ভালো নয়।’
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘ফেসবুকে বিএনপির বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার করছে। এই গোষ্ঠীর সবাই যে আওয়ামী লীগ, তা নয়। আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও অনেকেই আছেন, তারা বলছেন, বিএনপি এটা দখল করছেন, ওটা দখল করছে, কিছু একটা করছেন, আমরা সেটার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর বেশির ভাগই অপপ্রচার। এটা কারা করছেন, তাঁদের চিনেন না, ওদের বলি, একটু ভালো হয়ে যান, সারাক্ষণ ফেসবুকে কী করেন?’
আওয়ামী লীগের দুর্নীতির প্রসঙ্গে হাবিব উন নবী খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। আপনি জানতেন, তিনি (পিয়ন) ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এটা তিনি নিজের মুখেই বলেছেন। অথচ এক দিনের জন্যও তিনি (পিয়ন) জেলখানায় যাননি। দুই কোটি টাকার মিথ্যা মামলায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে বছরের পর বছর জেল খাটিয়েছেন। বছরের পর বছর আপনি আমাদের নেত্রীকে আটকিয়ে রেখেছেন। ওনার (খালেদা জিয়া) ৫০ বছরের স্মৃতিবিজড়িত বাসা থেকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছেন। এখন আপনি (শেখ হাসিনা) কোথায়? নেত্রীকে বাসা থেকে বের করলেন, আপনি তো দেশ থেকেই বেরিয়ে গেছেন। ইতিহাস তার পুনরাবৃত্তি ঘটনায় এবং ঘটাবেই। একজনকে আপনি বাসা থেকে বের করলেন, অনিবার্য পরিণতি আপনাকেও দেশ থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: খ ন বল ন ব এনপ র গরম ভ ত আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সনাহাদির উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শহরে যুবদলের মিছিল
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেছে মহানগর যুবদল।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড় থেকে শহরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে মহানগর যুবদল। মিছিলটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রোহলের মোড় হয়ে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে মহানগর বিএনপির মূল মিছিলের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
এময়ে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি’র মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর উপরে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জড়িত দুষ্কৃতিকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দেয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ ।