কুলদীপ নাকি বরুণ ‘দ্বন্দ্বে’ রোহিত-গম্ভীর
Published: 18th, February 2025 GMT
ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন পাঁচ স্পিনার ও চার পেসার। দুবাইয়ের কন্ডিশনের কথা ভেবে তিন পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজাতে পারে ভারত।
এর মধ্যে পেস অলরাউন্ডার হার্ডিক পান্ডিয়ার একাদশে জায়গা অনেকটাই নিশ্চিত। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে অক্ষর প্যাটেল বা ওয়াশিংটন সুন্দরের একজন থাকবেন একাদশে। অন্য স্পিনার কে হবেন? কুলদীপ যাদব নাকি বরুণ চক্রবর্তী?
ভারতের সংবাদ মাধ্যম ক্রিকব্লগার দাবি করেছে, রোহিত শর্মার পছন্দ বাঁ-হাতি লেগ স্পিনার কুলদীপ যাদবকে। ওদিকে কোচ গৌতম গম্ভীর একাদশে বরুণ চক্রবর্তীকে রাখতে চান।
পূর্বে বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে আইপিএল খেলেছেন গম্ভীর। কেকেআরের লেগ স্পিনারকে কোচিংও করিয়েছেন তিনি। গম্ভীরই নাকি বরুণকে নতুন করে ফর্মে ফিরিয়েছেন। তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। যে কারণে ডানহাতি লেগ স্পিনারকে একাদশে রাখার পক্ষে গম্ভীর।
ভারতের একাদশে যদি কুলদীপ থাকেন সেক্ষেত্রে অক্ষর প্যাটেলের জায়গায় ওয়াশিংটন সুন্দরের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তা না হলে তিন স্পিনারই হবেন বাঁ-হাতি। কিন্তু গম্ভীর আবার অক্ষরকে একাদশে রাখতে চান। মিডল অর্ডারে তাকে ছয় নম্বরে ব্যাটিংও করিয়েছেন গম্ভীর। যে কারণে অক্ষর-জাদেজা ও বরুণের জুটি গড়তে চান তিনি।
আরও একটি জায়গা নিয়ে আছে আলোচনা। একাদশে ঋষভ পান্ত থাকবেন নাকি কেএল রাহুল। তবে রাহুলকেই একাদশে রাখার পক্ষে কোচ-অধিনায়ক। তিনি ডানহাতি ও বাঁ-হাতি ব্যাটার সমন্বয় করে ব্যাটিং অর্ডার সাজানোর পক্ষে। যে কারণে হার্ডিকের আগে নামানো হতে পারে অক্ষরকে।
ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল ডানহাতি। তিনে বিরাট কোহলি ডান হাতে ব্যাটিং করেন। চারে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাটিং স্টাইলও একই। পাঁচে কেএল রাহুল খেললে তিনিও ডানহাতে ব্যাটিং করেন। গম্ভীর ছয়ে অক্ষর প্যাটেলকে খেলিয়ে সাতে হার্ডিক পান্ডিয়াকে খেলাতে চান। তেমনটা হলে আটে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার জাদেজাকে পাচ্ছে ভারত।
ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল, অক্ষর প্যাটেল, হার্ডিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ শামি, হার্শিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গম ভ র
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন নামঞ্জুর
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাত শিশুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়। গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার পাঁচ শিশুর জামিন আবেদন করা হয়। তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। ওই পাঁচজনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
কারাগার সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের পর ১৭ ও ১৮ জুলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ শিশুকে আটক করে পুলিশ। ১৮ জুলাই তাদের আদালতে হাজির করে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জুলাই তাদের যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বয়স, ঠিকানা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই। তবে গতকাল পর্যন্ত ১২ শিশুর নাম ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনগ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ২৭ জুলাই ২০২৫একজন শিশুর বাবা বলেন, ‘সংসারে অভাব–অনটন, নিজেরাই সংসার চালাইতে পারি না। আমার কষ্ট দেখে ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেয়। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রমজান শেখ নামের একটা রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে। কাজের সময় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’
আরেক শিশুর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, কোথাও কোনো কাইজের মধ্যে নেই। তিনডা ছেলে, বড়টা একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। ছোট দুইডা এখনো পড়ে। যারে ধরছে, সে সবার ছোট। ওই দিন সকালে আমার মাদ্রাসায় গেছে, পরীক্ষা ছিল। পরে দুপুরের আগে আমি নিজে যাইয়ে নিয়ে আসছি। সেদিন বাড়িতেই ছিল। পরের দিনও সারা দিন বাড়ি ছিল, সেদিন তো কারফিউ ছিল। আসরের নামাজের পর আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেছে চটপটি খাইতে। পাশে মাদ্রাসার সামনেই চটপটির দোকান বসে। সেই হান দে ওরে ধইরে নিছে।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ধরার ঘণ্টাখানেক পর থানা থেইকা ফোন দিছে, কয় ছেলে ধরা হইছে। আমরা থানায় গিয়া অনেক কইছি, ও তো কোথাও যায় না, কোনো গ্যাঞ্জামের ছেলে না। মাদ্রাসায় পড়ে। কিন্তু কেউ কিছুই শুনল না। ছেলেরে ছাড়ায় আনতে অনেক জায়গায় দৌড়াইছি।’ তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাঁদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ ছাড়া জামিনের আশ্বাস দিয়ে কয়েকজন লোক তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন একজন অভিভাবক।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন৩১ জুলাই ২০২৫গ্রেপ্তার এক শিশুর আইনজীবী ফিরোজা বেগম বলেন, ১৬ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এই শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় দ্রুত তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুরা অল্প সময় আগে গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো তদন্ত চলছে। তাই হয়তো বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় এখনো কারও জামিন হয়নি।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ১৮ জুলাই ২০২৫