‘পানির অভাবে বাংলাদেশে ১৫ লক্ষ টন চাল কম উৎপাদন হচ্ছে’
Published: 18th, February 2025 GMT
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘পানির অভাবে বাংলাদেশে ১৫ লক্ষ টন চাল কম উৎপাদন হচ্ছে। ১৫ লক্ষ টন চাল বেশি উৎপাদন হলে এ দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকত।’’
তিনি আরো বলেন, “তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি আর্ন্তজাতিকভাবে ন্যায়নীতির ন্যায্য দাবি। সকলের দাবি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো পানি বণ্টনের ব্যবস্থাপনা ফিরিয়ে আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফল আমাদের এখানে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তিস্তাপাড়ের মানুষ বাড়ি ঘর ফেলে চলে যাচ্ছে।”
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই এলাকায় তিস্তার অববাহিকায় তিস্তা রক্ষা আন্দোলনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে তিস্তা বাঁচাও আন্দোনের ডাক দিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। এর বহিঃপ্রকাশ এ আন্দোলনের মাধ্যমে ঘটেছে। এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। পানি যতদিন না আসবে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের জন সমর্থন ছাড়া কোন কিছুই করা সমাধান সম্ভব না। বিএনপি মানুষের জন সমর্থন নিয়ে এটার সমাধান কল্পে এ আন্দোলন শুরু করেছে। এটার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”
এসময় জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুল হক রুবেল, উলিপুর উপজেলা বিএনপি নেতা হায়দার আলী, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি আমিমুল এহসানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর অববাহিকায় তিস্তা রক্ষা আন্দোনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির শেষ দিন বিকেলে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।
সোমবার থেকে চলা এ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ তিস্তাপাড়ের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়।
ঢাকা/বাদশাহ/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রহম ন সদস য ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’