ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হলে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, ‘‘একটি পক্ষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে চিল্লাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় যে সকল আওয়ামী লীগার আছে, জানের ভয়ে পালিয়ে আছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করা মানে গ্রামে মহল্লায় ভাগাভাগি, মারামারি; তার মধ্যে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে।’’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘সংস্কার প্রস্তাব তো আমরা প্রত্যাখ্যান করি নাই। আমরা শুধু কোন কোন জায়গায় একমত নই, তা জানিয়ে দিয়েছি। এখন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে যদি অস্বীকার করা হয়, সেটা তো মানব না।’’ 

আরো পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন : তারেক রহমান

বিএনপিতে সুযোগ সন্ধানীদের স্থান নেই: দুলু

পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘‘অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা নয়। তাদের কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। স্থানীয় নির্বাচনের অর্থ আবার আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা। আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে লাগবে দুই বছর। সেই সুযোগে অন্তবর্তী সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য থেকে যাবে। এটি হবে না। তাই আগে জাতীয় নির্বাচন, তারপরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে।’’

প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘‘আপনি বড় প্রতিবেশী, আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আপনি যদি বড় প্রতিবেশী হয়ে সবসময় আমাদের সঙ্গে মোড়লগিরি করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। এই বাস্তবতা আপনি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।’’

টুকু বলেন, ‘‘ভারত যে ভালো প্রতিবেশি তার প্রমাণ দিতে পারছে না। তাই বাংলাদেশের আপামর জনতা আজ ভারতবিরোধী হয়ে গেছে। এই বাস্তবতা বুঝুন, বুঝে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করুন, আমাদের দিকে হাত পাতান। আমরা হাত বাড়িয়ে দেবো কিন্তু অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিবেন, ফেলানীকে ঝুলিয়ে রাখবেন, আমার ন্যায্য হিস্যা দিবেন না; তারপরও যদি আমাদের কাছে সুপ্রতিবেশী সুলভ ব্যবহার চান, তাহলে তো পাবেন না।’’

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত খালেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, আক্তারুজ্জামান আক্তার প্রমুখ।

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ আওয় ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ