Samakal:
2025-06-16@07:58:47 GMT

রাতে ঘুমের জন্য উপকারী ৩ চা

Published: 20th, February 2025 GMT

রাতে ঘুমের জন্য উপকারী ৩ চা

অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। এ কারণে তাদেরকে সন্ধ্যার পর চা-কফি না খাওয়ার কিংবা কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এমন কয়েক ধরনের চা আছে যেগুলি রাতে ঘুমনোর আগে খেলে উপকার মেলে। এতে মানসিক চাপ কমে,মন-মেজাজ ভালো থাকে। সবচেয়ে বড় কথা এসব চা রাতে সহজে ঘুম আসতে সাহায্য করে। 

গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি- এর অনেক গুণ রয়েছে। এই চা খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়। গ্রিন টি- তে ক্যাফেইনের মাত্রা কম থাকে। এই চা মানসিক চাপ কমায়। সেই সঙ্গে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। বার্ধক্যজনিত রোগ রুখতেও সাহায্য করে এই চা। গ্রি টি আমাদের শরীরের মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে এই চা ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিটক্স পানীয় হিসেবেও গ্রিন টি- এর জুড়ি নেই। শরীর থেকে সব ধরনের দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন টি। এর পাশাপাশি গ্রিন টি খেলে ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। 

ক্যামোমাইল টি:  এই বিশেষ ধরনের চা তৈরি হয় এক প্রকারের ফুল দিয়ে। এই চা ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ক্যামোমাইল টি আমাদের মন-মেজাজ শান্ত রাখে। মানসিক চাপ কমায়। ঘুমোনোর আগে এই চা খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে। 

ল্যাভেন্ডার টি: রাতে ঘুমানোর আগে বিশেষ এই চা খেলেও ভাল ভাবে ঘুম আসবে আপনার। অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগ কমাতে দারুণ ভাবে কাজ করে এই ল্যাভেন্ডার টি। এই চা খেলে সহজে ঘুম আসে। তবে রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য পরিমাণে এই চা খাওয়া উচিত। নিয়মিত না খেলেই ভাল। 

যাদের ঘুমের সমস্যা আছে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে এই তিন ধরনের চা খেয়ে দেখতে পারেন। এতে রাতে ঘুমের সমস্যা মিটতে পারে। সহজে ঘুম আসতে পারে আপনার চোখে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন।

গত ঈদের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটির ১৫ দিনে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮৩৫ জন।

আজ সোমবার ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

লিখিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদযাত্রায় সড়ক–মহাসড়কে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। এটি মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশের বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দুর্ঘটনায় হতাহত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহনের শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০টি শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, ১ জন করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীর পরিচয় মিলেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।

সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহামারির মতো যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়কে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিত ও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত লোকের সমন্বয়ে সঠিক ম্যানেজমেন্ট–ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক আরমানা সাবিয়া হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসেন, জি এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ