বিস্কুট–কেকের ওপর ভ্যাট কমাল এনবিআর
Published: 20th, February 2025 GMT
দেড় মাসের মাথায় বিস্কুট-কেকের ওপর থেকে ভ্যাটের হার কমানো হয়েছে। মেশিনে প্রস্তুত ও হাতে বানানো—উভয় ধরনের বিস্কুটের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। বিস্কুটের মতো কেকের ওপরও একই হারে ভ্যাট আরোপ হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এর আগে ৯ জানুয়ারি বিস্কুট ও কেকের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। এখন তা আবার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে ভ্যাটের হার কমানো হলেও তা আগের জায়গায় আর আসেনি। আগের চেয়ে ভ্যাটের হার কিছুটা বাড়তিই থাকল।
ভ্যাট বাড়ানো হলেও গত দেড় মাসে বিস্কুট ও কেক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্কুট-কেকের দাম বাড়ায়নি। বরং তারা ভ্যাটের হার কমানোর জন্য এনবিআরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেনদরবার করে আসছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর ভ্যাট হার ১৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্ধিত ভ্যাট হার কমানোর পরও তা আগের ভ্যাট হারের চেয়ে আড়াই শতাংশ বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিস্কুট-কেকের বিদ্যমান দাম বহাল রাখতে পারবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
গত মাসে আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ার ও কলার পাল্পসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর শুল্ক-কর বাড়ানো হয়। এরপর বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে আপত্তি করে আসছিলেন।
ভ্যাট কমানো–সংক্রান্ত এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, মেশিনে প্রস্তুত বিস্কুট, হাতে তৈরি বিস্কুট (প্রতি কেজি ২০০ টাকার বেশি) এবং কেকের (প্রতি কেজি ৩০০ টাকার বেশি) ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয় আদেশে।
এদিকে খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বিস্কুটের চাহিদার ৮০-৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হয়। বাজারে ৫, ১০ ও ১৫ টাকা দামের বিস্কুটের প্যাকেটের চাহিদা বেশি। সীমিত আয়ের মানুষ এসব বিস্কুট বেশি খান। তাই ভ্যাট বাড়ানোর ফলে এসব বিস্কুটের দাম বাড়লে তাতে সীমিত আয়ের মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ কারণে তাঁরা বিস্কুট–কেকের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রীণ স্কুল ক্যাম্পেইন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে তরুনদের অংশগ্রহণে জিরো ওয়েস্ট বিগ্রেড স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে দেলপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলে গ্রীণ স্কুল ক্যাম্পেইন চিত্রংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে স্কুল প্রঙ্গনে এ গ্রীণ স্কুল ক্যাম্পেই চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
দেলপাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মনিরুজ্জামান মুকুলের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপপরিচালক এ এইচ এম রাসেদ।
উক্ত প্রতিযোগিতায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায়। গ্রীণ স্কুল ক্যাম্পেইন ও প্লাস্টিক- ৩ এর উপর কর্মসূচী পালন করেন, দেলপাড়া গিয়াসউদ্দিন স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।