কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারো মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধা
Published: 21st, February 2025 GMT
ওমর সানি ও মুন্নী আক্তার দম্পতির বাসা ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর সেকশনে। পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই দম্পতির শ্রদ্ধা নিবেদনের সঙ্গী ছিল তাঁদের সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে তাসমিম। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর এই দম্পতি একমাত্র মেয়ে তাসমিমকে নিয়েই শহীদ মিনারে আসতেন। এবার তাদের দল আরেকটু ভারী হয়েছে। এ দলে যুক্ত হয়েছে আরেক নতুন সদস্য, যার নাম মুনজেরিন, বয়স মাত্র ১০ মাস। সে ওমর-মুন্নী দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চার সদস্যের এই পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁরা ঘোরাফেরা করে ছবি ও সেলফি তুলছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী ওমর সানি বললেন, ‘ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছি। প্রতিবছরই এই শহীদ মিনারে এসেই শ্রদ্ধা নিবেদন করি। সন্তানদেরও সঙ্গে আনি, যাতে তারা বাংলা ভাষার জন্য ভাষাশহীদদের যে আত্মত্যাগ, সেটা হৃদয়ে ধারণ করে বাংলাকে ভালোবাসতে পারে।’
আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটিতে হাজারো মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ ভোর থেকেই প্রভাতফেরি করে শ্রদ্ধার ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি পৃথকভাবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন
পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান, অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।
গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়।
তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”
নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/ইভা