সফট পাওয়ার সূচকে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় চীন
Published: 21st, February 2025 GMT
২০২৫ সালের ব্র্যান্ড ফিন্যান্স গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্সে যুক্তরাজ্যকে অতিক্রম করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে চীন। শীর্ষ স্থান বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৭২.৮, যা দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ পরামর্শক সংস্থা ব্র্যান্ড ফিন্যান্স প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল সফট পাওয়ার সূচকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের গ্লোবাল ইমেজের বিভিন্ন মাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়। ১ লাখ ৭০ হাজার জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে পরিচালিত একটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করা হয়। মূলত সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতির ফলে অন্যান্য দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় দেশ হিসেবে পরিণত হওয়ার দক্ষতা নির্দেশ করে এই সূচক।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চীন ২০২৪ সাল থেকে সফট পাওয়ারের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বিশেষ করে, বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ, টেকসই ভবিষ্যৎ অর্জনে চীনের অধিক মনোযোগ এবং শক্তিশালী দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা।
ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের চেয়ারম্যান ডেভিড হেইগ বলেছেন, “চীন সফট পাওয়ারের আটটি স্তম্ভের ছয়টিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।
বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে