চাকরিজীবী নারীদের প্রতিদিন সকালে অফিসে যেতে হয়। সারাদিন কাজ করে যখন তার ঘরে ফেরার যখন সময় হয় ততক্ষণে বিকাল হয়ে আসে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকতে হয় সেহেতু এই সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই প্রয়োজন হতে পারে। তবে সবকিছু ব্যাগে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার কিছু জিনিস সঙ্গে না রাখলেই নয়। একজন চাকরিজীবী নারী ব্যাগে কি কি রাখবেন?— এক বাক্যে বলতে গেলে বলতে হবে এমন কিছু জিনিস রাখা জরুরি যেগুলো ব্যাগে না থাকলে আপনি কখনো কখনো অসুবিধায় পড়ে যেতে পারেন। চলুন তালিকাটি একবার মিলিয়ে নেওয়া যাক।

ওয়ালেট, ফোন, চার্জার: ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না! বিশেষ করে কর্মজীবী নারীরা ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোর মধ্যে টাকার ব্যাগ, ফোন এবং ফোনের চার্জার রাখতে ভুলে যাবেন না। মোটামুটি এই তিনটি জিনিস থাকলে যে কোনও সমস্যা মোকাবিলা সহজ হয়ে যায়। এ ছাড়া পাওয়ার ব্যাঙ্কও সঙ্গে রাখতে পারেন। এতে ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেলেও বিশেষ চিন্তা থাকবে না।

স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ওষুধ: নারীদের ব্যাগে থাকতে পারে স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ। ওষুধের মধ্যে ব্যাগে ব্যান্ড-এইড, প্যারাসিটামল, পেট খারাপের ওষুধ, দৈনন্দিন ওষুধ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার রাখতে পারেন।

আরো পড়ুন:

‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ

টাকা হাতে আসলেই খরচ হয়ে যায়? ‘কাকিবো’ পদ্ধতিতে টাকা জমান

হেয়ারব্যান্ড ও চিরুনি: অধিকাংশ নারীই চুলের প্রতি যত্নশীল। চুলের যত্নে ব্যাগে চিরুনি, হেয়ারব্যান্ড, গার্ডার ইত্যাদি রাখতে পারেন। চুল এলোমেলো হয়ে এগুলো প্রয়োজন পড়বে।

মেকআপ: ব্যাগে রাখতে পারেন টুকিটারি মেকআপ সামগ্রী। যেমন— লিপস্টিক, লিপবাম, কমপ্যাক্ট পাউডার, অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, ছোট সানস্ক্রিন লোশন আর পারফিউম। 

সেফটিপিন ও টিস্যু: সেফটিপিন কিংবা টিস্যু কত যে জরুরি তা কম-বেশি সব নারীই জানেন। 

শুকনো খাবার: কর্মজীবী নারীদের ব্যাগে সব সময় থাকতে পারে কিছু শুকনো খাবার। ক্লান্তি কাটাতে পারে এমন খাবার সঙ্গে রাখা ভালো। যেমন— বাদাম, কিশমিশ, খেজুর ইত্যাদি।

অতিরিক্ত এক সেট চাবি: তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মনের ভুলে চাবি ঘরে রেখেই বের হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গাড়ির চাবি হোক অথবা ঘরের চাবি, অতিরিক্ত এক সেট চাবি ব্যাগে রেখে দিতে পারেন। 

এসব ছাড়াও, ব্যাগে রুমাল, পানির বোতল, পরিচয়পত্র এবং সানগ্লাস রাখতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ