বাকৃবিতে গবেষণা প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষণ করছে ইউজিসি: বাকৃবি রেজিস্ট
Published: 23rd, February 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে বাকৃবিতে প্রকল্পভিত্তিক গবেষণায় মোট ১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) আওতায় থাকা ৪৭টি গবেষণা প্রকল্পের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিভিন্ন বিভাগের ৪৪টি গবেষণা প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাকৃবিতে ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত এসব গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে পরীক্ষামূলক নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে।”
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি রেজিস্ট্রার ড.
গবেষণা বরাদ্দ আরো বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে রেজিস্ট্রার বলেন, “মুদ্রাস্ফীতির কারণে বর্তমানে বরাদ্দকৃত বাজেট যথেষ্ট নয়। গবেষণা প্রকল্পের জন্য বাজেট বাড়ানো গেলে আরো বেশি শিক্ষার্থী এসব প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। ফলে এসব গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
তিনি বলেন, “কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এতে গবেষণার ফলাফল দ্রুত মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক কৃষিখাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র পর চ ল ইউজ স
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম