Samakal:
2025-05-01@13:57:32 GMT

ফার্মাসি পড়ে ক্যারিয়ার

Published: 23rd, February 2025 GMT

ফার্মাসি পড়ে ক্যারিয়ার

ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল সাবজেক্ট এবং স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা। সহজভাবে এটি হলো ওষুধবিজ্ঞান। ওষুধ বানানো, এর মান নির্ধারণ, ব্যবহার, বিতরণ, পরিবেশন– এসবই এর আলোচ্য বিষয়। 
ফার্মাসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে যেখানে:
ফার্মাসি প্রোগ্রামে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে স্নাতকে ভর্তি হতে ‘ক’ ইউনিট কিংবা জীববিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি পড়ানো হয়। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়,আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মাসি বিষয়ে পড়ানো হয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টরাই ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট যারা ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ওষুধের ফর্মুলেশন, উৎপাদন, মানোন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণাসহ ফার্মাসি সংশ্লিষ্ট পণ্য নিয়ে কাজ করে থাকেন। 
যেসব বিষয় পড়ানো হয়: 
ফার্মাসি একটি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট (একসঙ্গে অনেক বিষয়ের সমন্বয়)। ফার্মাসিতে যা পড়ানো হয় তার মধ্যে রয়েছে– রসায়ন (inorganic/organic/physical/ Analytical/Medicinal chemistry), মানবদেহ (Physiology/Anatomy), ওষুধবিদ্যা (Pharmacognosy /Pharmacology / Pharmaceutical technology / Quality control / Pharmaceutical Engineering /Biopharmaceutics), লাইফ সায়েন্সের অন্যান্য বিষয়(Microbiology / Biochemistry / Biotechnology) Hospital pharmacy / Clinical pharmacy, Pathology, Drug and disease management, Statistics) সহ আরও কিছু বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট বলে। এ ছাড়া দেশে ও দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পিএইচডিসহ অন্যান্য ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। 
ফার্মাসিস্টদের চাকরির ক্ষেত্র:
একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নতুন ওষুধ আবিষ্কার থেকে শুরু করে রোগী কর্তৃক ব্যবহার পর্যন্ত যে কোনো প্রকার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারেন। 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও মার্কেটিং সেক্টরে সুযোগ বেশি। এখানে প্রায় দুই শতাধিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানিতে প্রডাকশন, প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং বা সেলস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্টরা। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ঔষধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চপদে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশ

পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধরে নিচ্ছি যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে যা আগামী বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাতে যে বাড়তি খরচ হবে তার মধ্যে রয়েছে বিকল্প রুটে বিমানগুলোর দীর্ঘ উড্ডয়নের জন্য বর্ধিত জ্বালানি খরচ।

বিমান সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে জানিয়েছে, ফ্লাইটের সময় যত বেশি হবে, যাত্রীদেরও তার উপর প্রভাব পড়বে। ফ্লাইট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতি বছর ৫৯ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। নয়াদিল্লি পরের দিনই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতি পোষাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছে আনুপাতিক ভর্তুকির জন্য অনুরোধ করেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ভর্তুকি একটি ভালো, যাচাইযোগ্য এবং ন্যায্য বিকল্প... পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ