গোপন রাখা গেল না, মেহজাবীন-রাজীবের গায়ে হলুদের ছবি প্রকাশ্যে
Published: 24th, February 2025 GMT
নাহ, গোপন রাখা গেল না ছবি। অনেক কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গায়ে হলুদের দিন রাত্রেই ফাঁস হয়ে গেল মেহজাবীন ও রাজীবের ছবি। যদিও তাদের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ছবি তোলায় বিধিনিষেধেল কথা আগেই জানানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার পরও মাইকে ঘোষণা করে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বিষয়টি। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। ঠিকই ফাঁস হয়েছে মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদের একাধিক স্থিরচিত্র।
রোববার ঢাকার অদূরে হয়েছে তাদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। এদিন মেহজাবীন পরেছিলেন বেগুনি রঙের লেহেঙ্গা বর আদনান আল রাজীব পরেছিলেন কালো রঙের কাবলি পাঞ্জাবি ও পায়জামা।
পাশাপাশি দুজনকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। তাঁদের পেছনে ছিল বাদ্যযন্ত্রীদের একটি দল। জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টা থেকে এই গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। একই ভেন্যুতে আজ হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজীবের সঙ্গে মেহজাবীনের প্রেমের গুঞ্জন চলে আসছিল। তারা বিয়ে সেরেছেন এমন কথাও চর্চিত ছিল শোবিজ অঙ্গনে। তবে তারা এটি নিয়ে কখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। অবশেষে গুঞ্জন সত্যি হলো তাদের আনুষ্ঠানিক বিয়ের ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে মেহজাবীন ও আদনানের আক্দ সম্পন্ন হয়। তাঁদের বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবীন চৌধুরী এবং বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’
জানা গেছে, ঢাকার বাইরে সেই রিসোর্টে বেশ কয়েক দিন ধরে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গতকাল সকাল থেকেই সেখানে মেহজাবীন ও আদনানের পরিবারের সদস্যরা পৌঁছাতে শুরু করেন। বিনোদন অঙ্গনের অনেক পরিচিত মুখও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা, রেদওয়ান রনি, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, এলিটা করিম, আশফাক নিপুণ, সাদিয়া আয়মান, রায়হান রাফী, তমা মির্জা, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, মোস্তফা কামাল রাজ, জেফার রহমান প্রমুখ ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র ব য় র অন ষ ঠ ন ম হজ ব ন অন ষ ঠ ন আদন ন
এছাড়াও পড়ুন:
বারবার গরম করা ঠিক নয় কোন খাবার
ঠান্ডা হয়ে গেলে খাবার আবার গরম করার অভ্যাস অনেকের। অনেকেরই হয়তো জানা নেই কিছু খাবার আবার গরম করলে তা বিষাক্ত হতে পারে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান নষ্ট করার পাশাপাশি, বারবার গরম করলে মাঝে মাঝে ক্যান্সারসহ বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকি বাড়ে। কোন কোন খাবার আবার গরম করা ঠিক নয় জেনে নিন-
চা : চা বারবার গরম করলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। বারবার গরম করলে এতে উপস্থিত ট্যানিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড বৃদ্ধি পায়, যা পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, পুনরায় গরম করা চায়ের স্বাদ তেতো এবং তীব্র হয়ে ওঠে। এটি শরীরে বিষাক্ত উপাদানও বাড়াতে পারে।
পালং শাক, বিট এবং মসুর ডাল : পালং শাক, বিট এবং অন্যান্য নাইট্রেট সমৃদ্ধ সবজি কখনই আবার গরম করা উচিত নয়। এটি করলে এতে উপস্থিত নাইট্রেটগুলি নাইট্রাইট এবং নাইট্রোসামিনে রূপান্তরিত হয়, যা কার্সিনোজেনিক বলে বিবেচিত। এ কারণে এসব খাবার তাজা খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ভাত : যদি রান্না করা ভাত দীর্ঘ সময় ধরে ঘরের তাপমাত্রায় রাখা হয় এবং তারপর আবার গরম করা হয়, তাহলে এতে ব্যাসিলাস সেরিয়াস নামক একটি বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এর ফলে খাদ্যে বিষক্রিয়া, বমি এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এ কারণে বেঁচে যাওয়া ভাত দ্রুত ফ্রিজে রাখুন এবং দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পনির : পনির বারবার গরম করলে কেবল এর গুণাগুণই নষ্ট হয় না, এতে উপস্থিত প্রোটিনও ক্ষতিকর আকার ধারণ করতে পারে। এর ফলে হজমের সমস্যা এবং পেটের জ্বালাভাব হতে পারে।
রুটি : যদি রুটি বারবার গরম করা হয়, তাহলে এতে উপস্থিত স্টার্চ বিষাক্ত যৌগে পরিণত হতে পারে। মাইক্রোওয়েভে বা প্যানে গরম করা রুটি শরীরে কোনও পুষ্টি সরবরাহ করে না; বরং এটি বদহজম, অম্বল এবং গ্যাসের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সুস্থ থাকতে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং আমরা যে খাবার খাই দুটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বারবার খাবার গরম করা একটি সাধারণ অভ্যাস, তবে সামান্য অসাবধানতাও বড় ধরনের অসুস্থতার কারণ হতে পারে। যতটা সম্ভব খাবার টাটকা খেতে চেষ্টা করুন।