চুরি, ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ দমন ও সার্বক্ষণিক নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মির্জাপুর পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ২০১৮ সালে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ করত মির্জাপুর থানা।
পৌর এলাকার ২৮টি স্থানে স্থাপন করা হয় এসব সিসিটিভি ক্যামেরা। বর্তমানে সবক’টিই বিকল হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে এলাকায় বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা।
জানা গেছে, আগে থেকে বিকল ছিল কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর থেকে সব সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল।
মির্জাপুর থানার পুলিশ ও ক্যামেরা স্থাপনকারী টেকনিশিয়ানের তথ্যমতে, পৌর এলাকায় পুরোনো ও নতুন বাসস্ট্যান্ডসহ বাজারের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে স্থাপন করা ২৮টি সিসিটিভি ক্যামেরাই বিকল।
মির্জাপুর পৌর এলাকার পুরোনো ও নতুন বাসস্ট্যান্ড, বংশাই রোড, কালীবাড়ি রোড, কলেজ রোড, মির্জাপুর কলেজগেট, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, থানা রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তিনটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল থাকায় এসব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে পুলিশকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ওই ঘটনাগুলোর কোনো তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। এ ছাড়া বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, স্বর্ণের দোকানে চুরি, রড-সিমেন্টের দোকানে চুরিসহ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অনেক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসবের তথ্য উদ্ঘাটনে পুলিশ বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, আগে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক অপরাধী শনাক্ত হয়েছে থানার নিয়ন্ত্রণাধীন সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে, যা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। থানার নিয়ন্ত্রণাধীন ২৮টি ক্যামেরা বিকল থাকায় অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিমালিকানাধীন সিসিটিভি ক্যামেরার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো দরকার।
মির্জাপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম ফারুক সিদ্দিকী বলেন, ‘থানার নিয়ন্ত্রণাধীন সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা খুবই শঙ্কিত। ইতোমধ্যে বাজারে অনেক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া প্রায়ই বাজারের বিভিন্ন সড়কে ছিনতাইয়ের কথা শুনি। অতিদ্রুত বিকল সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল করা দরকার।’
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো বিকল থাকায় এখন অপরাধী শনাক্ত করতে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, তিনি মির্জাপুর থানায় যোগদানের পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গোড়াই স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে জামুর্কী পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য অন্তত ৩০০ চিঠি দিয়েছেন। সাড়াও পাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে। পৌর এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা সচলের বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
মির্জাপুর পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের ভাষ্য, সিসিটিভি ক্যামেরা বিকলের বিষয়ে জানতে পেরেছেন তিনি। ক্যামেরাগুলো পুনঃস্থাপন করতে ইতোমধ্যে প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যামেরাগুলো সচল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বিকলের বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব কল থ ক য় প র এল ক র উপজ ল অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ