ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬০৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদ্য গঠিত কমিটির সদস্যসচিব সোহেল রানা।

গতকাল সোমবার রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ৬০৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী রিয়াজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে স্থান পেয়েছেন সাইফ খাঁ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদ পেয়েছেন মো.

আশরাফ। যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আশিক আহম্মেদ নূর ও যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়েছে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী তাহসিন চৌধুরীকে।

মুখ্য সংগঠকের দায়িত্ব পেয়েছেন সরকারি ইয়াসিন কলেজের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান ও সংগঠক হয়েছেন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী লামিন ইসলাম। মুখপাত্র করা হয়েছে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী কাজী জেবা তাহসিন ও সহমুখপাত্র করা হয়েছে ফরিদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবাকে।

নতুন কমিটির আহ্বায়ক কাজী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় মাসের জন্য আমাদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা কলেজ, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়েও কমিটি গঠন শুরু করব। যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাঁদের এসব কমিটিতে রাখা হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কল জ র শ ক ষ র থ সদস যসচ ব সরক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ