আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন মনিরা কায়েস
Published: 25th, February 2025 GMT
দীর্ঘ বিরতির পর বাঙলার পাঠশালা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। এবার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক মনিরা কায়েস। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘অন্ধ কুলঙ্গির টীকাভাষ্য’ বইটির জন্য এবার তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২০১৭ সালে ষষ্ঠবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সে বছর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা।
২০১১ সালে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তনের পর প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে তা দেওয়া হচ্ছিল। তবে অনিবার্য কিছু কারণে পুরস্কারটি সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল বলে জানিয়েছে পুরস্কারের প্রবর্তক প্রতিষ্ঠান বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহিত্যচর্চার গৌরবময় ঐতিহ্য অব্যাহত রাখতে বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশন নতুনভাবে বিচারকমণ্ডলীর দল গঠন করে সপ্তম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহার নেতৃত্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন কথাসাহিত্যিক মামুন হুসাইন, ইমতিয়ার শামীম, ওয়াসি আহমেদ, প্রশান্ত মৃধা, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস এবং বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ জাভেদ চৌধুরী। তবে পুরস্কার প্রদানের সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি।
এবারের পুরস্কারজয়ী কথাসাহিত্যিক মনিরা কায়েস গবেষণা ও লেখালেখির পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি
দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গত রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় বিশেষ করে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, বরিশাল, বরগুনাসহ যে সকল এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে মশক নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকরণ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ অতীব জরুরি। এছাড়া, এ বিভাগের অধীন তৃণমূল পর্যায়ের কমিটিগুলোর মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক বার্তা প্রচার-প্রচারণাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা অপরিহার্য। তাই ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৪ জন। এসময়ের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে (ডিএসসিসি) ২৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে (ডিএনসিসি) ১৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন রয়েছেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৯ জন। চলতি বছরের ১৬ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২২২ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিশেষ টিম
এদিকে আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বরিশাল ও ঢাকায় বেশি। এটি দোষারোপের জন্য বলছি না। তবে স্থানীয় সরকারের মশক নিধন কার্যক্রমটা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। যার ফলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তিনি বলেন, যে জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত বা এডিস মশার বিস্তার বেশি, সেখানে আমাদের স্পেশাল টিম কাজ করছে। আমাদের গাইডলাইনও আপডেট করা হচ্ছে। আজকালের মধ্যে দেওয়া হবে।