দীর্ঘ বিরতির পর বাঙলার পাঠশালা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে। এবার আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক মনিরা কায়েস। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি ‘অন্ধ কুলঙ্গির টীকাভাষ্য’ বইটির জন্য এবার তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২০১৭ সালে ষষ্ঠবারের মতো এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। সে বছর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিলেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা।

২০১১ সালে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তনের পর প্রতিবছর ধারাবাহিকভাবে তা দেওয়া হচ্ছিল। তবে অনিবার্য কিছু কারণে পুরস্কারটি সাময়িকভাবে স্থগিত ছিল বলে জানিয়েছে পুরস্কারের প্রবর্তক প্রতিষ্ঠান বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহিত্যচর্চার গৌরবময় ঐতিহ্য অব্যাহত রাখতে বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশন নতুনভাবে বিচারকমণ্ডলীর দল গঠন করে সপ্তম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কথাসাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার অধ্যাপক সনৎকুমার সাহার নেতৃত্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন কথাসাহিত্যিক মামুন হুসাইন, ইমতিয়ার শামীম, ওয়াসি আহমেদ, প্রশান্ত মৃধা, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস এবং বাঙলার পাঠশালা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ জাভেদ চৌধুরী। তবে পুরস্কার প্রদানের সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি।

এবারের পুরস্কারজয়ী কথাসাহিত্যিক মনিরা কায়েস গবেষণা ও লেখালেখির পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাংলাদেশ বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছে।

তৃতীয় দফার আলোচনা শেষে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এই দলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও ছিলেন। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসেবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণায় করা হলো।

আরও পড়ুন১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ ৬ ঘণ্টা আগে

খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ১ আগস্ট সময়সীমার আগেই বাংলাদেশের ওপর ধার্য করা শুল্ক কমিয়ে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমরা বড় ধরনের একটি অনিশ্চয়তা থেকে রেহাই পেয়েছি। ওই সময়সীমার মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত জটিল আলোচনা আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম। তা না হলে আমরা এ সিদ্ধান্তটি পেতাম না; এবং গত এপ্রিলে ধার্য করা ৩৫ শতাংশ শুল্কের গুরুভার আমাদের বহন করে যেতে হতো।’

আরও পড়ুনরপ্তানি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই, প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় থাকব: বাণিজ্য উপদেষ্টা৪ ঘণ্টা আগে

খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছেন, যা আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান অথবা যত্সামান্য বেশি; এবং ভারতের থেকে ৫ শতাংশ কম। সুতরাং আমেরিকার বাজারে আমাদের রপ্তানি পণ্য প্রতিযোগিতামূলক থাকবে। তৈরি পোশাকশিল্প ও এর ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি অত্যন্ত স্বস্তিকর ঘটনা।’

আরও পড়ুনএটা আমাদের পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জন্য সুসংবাদ: খলিলুর রহমান২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ