নাহিদ-আখতারদের নতুন দলে থাকছেন না জোনায়েদ ও রাফে
Published: 26th, February 2025 GMT
আগামী শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলে থাকছেন না ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আলী আহসান জোনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুজনই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আসতে যাওয়া নতুন দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেন। আলী আহসান জোনায়েদকে এই দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক করার পরিকল্পনা ছিল। রাফে সালমানকেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখার কথা ছিল।
সবশেষ গত সোমবার জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আলী আহসান জোনায়েদ, রাফে সালমানসহ চারজন চীন সফরে যান। জোনায়েদ ও রাফে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি। জোনায়েদ নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাফে আছেন যুগ্ম সদস্যসচিব পদে। জাতীয় নাগরিক কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে তাঁদের চীন সফরের বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। নাগরিক কমিটি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও পাঠিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে আলী আহসান জোনায়েদ ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নেতৃত্বে যে নতুন রাজনৈতিক দলটি আসছে, সেখানে আমি থাকছি না৷ সে কথা আমি আরও সপ্তাহখানেক আগেই জানিয়েছি দলের নেতাদের। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে ও জাতির নজর নতুন দলের ওপর নিবদ্ধ রাখতে নীরবতা বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু চারপাশের গুঞ্জন থামছে না। তাই স্পষ্ট করে রাখছি।’
জোনায়েদ আরও লেখেন, ‘দুঃখজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্যাগিং ও ট্যাবুর রাজনীতি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার রাজনীতি এই দলের মাধ্যমে শুরু হোক, এই প্রত্যাশাই করি। আশা করি, অভ্যুত্থানের সময়ে আমাদের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছিল, নতুন রাজনৈতিক পথচলায়ও আমাদের পারস্পরিক এই সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন দল, নাহিদ ইসলাম ও নব নেতৃত্বের জন্য শুভকামনা রইল।’
আজ বুধবার ভোরে জোনায়েদের পোস্টটি শেয়ার করে রাফে সালমান লিখেছেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলে আমিও থাকছি না। তবে আমার রাজনৈতিক পথচলা থেমে থাকবে না৷ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক সম্ভাবনার যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল, তাতে শর্ট টার্মে খুব ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা রাখি না আপাতত। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মনে রাখি যে রাজনীতি একটা লম্বা রেইস। ধৈর্য নিয়ে লম্বা সময়ের জন্যই আমাদের এই রেইসে টিকে থাকতে হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহস ন জ ন য় দ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ক্রিকেটার এবং মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন—সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম এবং বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উদ্দীপনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও সিইও বিদ্যুত কুমার বসু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো.মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিল ফয়সাল ও শওকত হোসেন।
তাদের মধ্যে শেষের ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান এই ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬) এর ২৪(৩) ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯ (১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল থেকে অনুমোদনহীন গোল্ডব্রিকস এবং এ অ্যান্ড পি ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর করেছেন। এ জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন আছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামিররা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো ও এনআইডি ব্লক করা প্রয়োজন।
সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়েরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে সরকারি বিধি ও শেয়ারবাজার আইন লঙ্ঘন করে শত শত কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
ঢাকা/এম/রফিক