নবীন ও অভিজ্ঞ শেফদের জন্য চাকরি মেলা
Published: 26th, February 2025 GMT
শেফদের জন্য বিভিন্ন চাকরি ও শেফ হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের তথ্য নিয়ে ‘হসপিটালিটি অ্যান্ড শেফ জব ফেয়ার’ নামে চাকরি মেলার আয়োজন করেছে অনলাইনে চাকরি খোঁজার প্রতিষ্ঠান ‘বিডিজবস’। সদ্য প্রশিক্ষণ নেওয়া প্রার্থী ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য চাকরির সুযোগ রয়েছে মেলায়। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বিডিজবস ডটকম লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এবং শেফ জব ফেয়ারের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ফিরোজ প্রথম আলোকে বলেন, মেলায় আসার জন্য প্রায় ১৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিবন্ধন করেছেন। শেফদের চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ও শেফ হতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। মেলায় মোট ৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যেহেতু শেফদের দেশের বাইরে প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তাই কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠানও মেলায় রয়েছে।
শুধু শেফ পদে নয়, রুম অ্যাটেনডেন্ট, অতিথি ব্যবস্থাপনা, অ্যাসিসটেন্ট টেকনিশিয়ান ও টিম মেম্বার পদে চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া প্রফেশনাল শেফ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রার্থী নিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
দেশ-বিদেশের হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস, রেস্তোরাঁ, ফাস্ট ফুড শপ, বেকারির জন্য বিভিন্ন কোর্সের তথ্য নিয়ে স্টল দিয়েছে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। শেফের কাজ, টেবিল সেট-আপ, খাদ্য ও পানীয় পরিবেশনের কলাকৌশল প্রশিক্ষণ, পেস্ট্রি, ব্রেড, কুকিজ তৈরির প্রশিক্ষণ ফ্রন্ট অফিস ও অভ্যর্থনার কার্যাবলি এবং হাউসকিপিংসহ ১১টি কোর্স রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ৫টি এক থেকে দুই বছরব্যাপী ডিপ্লোমা কোর্স এবং ১৮ সপ্তাহব্যাপী ৬টি ন্যাশনাল সার্টিফিকেট কোর্স।
ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন কালিনারি আর্টস অ্যান্ড ক্যাটারিং ম্যানেজমেন্ট কোর্সে পড়ছেন ইশতিয়াক হোসেন ও নয়ন মোড়ল। ইন্টার্নশিপের জন্য মেলায় এসেছেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে জীবনবৃত্তান্ত দিয়েছেন। কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন ইন্টার্নশিপ পান, সেই আশা করছেন দুজনে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক মো.
মেলায় চাকরির জন্য আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচ তারকা হোটেলে তিন বছর ধরে শেফ হিসেবে কাজ করছি। আরও ভালো চাকরির জন্য মেলায় এসেছি। সেরা পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য সিভি দিয়েছি। আশা করি, দ্রুত ভাইভার জন্য ডাক পাব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম
উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক