“গত ১৫ বছর ছিল কালো যুগ। আলেম ওলামাদের দাড়ি-টুপি দেখে জঙ্গি বানিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে। কোরআন-হাদিস দেখলেই জঙ্গি বানিয়ে দিয়েছে” বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটার দিকে বরগুনা টাউনহল মাঠে জেলা জামায়াত ইসলামের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

এসময় তিনি আরো বলেন, “সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করতে ৫/৬টি দপ্তর সংস্কার করে নির্বাচন দিতে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু অপেক্ষা করবে জামায়াত ইসলাম।”

তিনি বলেন, “একদল নির্বাচন চায়, তারা ভোট কেটে ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা চাঁদাবাজি করে সব কিছু দখল করেছে, দেশে শান্তি ফেরেনি। চাঁদাবাজ- মাস্তানদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। বিপ্লবের পর চারটি প্রতি বিপ্লবের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, বস্তায় বস্তায় টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে দিতে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। হাসিনা আবার দেশে আসতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই।” 

সম্মেলন শেষে আগামী সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনে জামায়াত ইসলামের জেলা আমির অধ্যাপক মহিব্বল্লাহ হারুন ও বরগুনা-২ আসনে ডাক্তার সুলতান আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়েত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযাম হোসাইন হেলাল, জামায়েত ইসলাম বরিশাল মহানগরীর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/ইমরান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ইসল ম র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ইরানের নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ