ইনজুরিতে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান। এক বছর দলে ছিলেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ওই ইব্রাহিমকে ফোন করেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ। ইব্রাহিমের মতে, ওটা তার ক্যারিয়ার বদলে যাওয়া ফোন কল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের বাঁচা-মরার ম্যাচে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ওই ফোন কলের মূল্য দিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডকে ৩২৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে আফগানরা। 

লাহোরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ৩৭ রানে তিন উইকেট হারায় তারা। অধিনায়ক হাসমতের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়ে ওই বিপর্যয় সামাল দেন ইব্রাহিম। হাসমত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন। পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ইব্রাহিম ৭২ রানের জুটি গড়েন। ওই জুটিতে বড় রানের পথে পা বাড়ায় আফগানরা। ওমরজাই ফিরে যান ৩১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারের শটে ৪১ রান করে। 

পরে ইব্রাহিম ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী ঝড়ো ব্যাটিং করে দলের পুঁজি তিনশ’র ওপরে নিয়ে যান। ইব্রাহিম তার ৩৫ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২২ সালে করা ১৬২ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন। তার ১৪৬ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চারের সঙ্গে ছয়টি ছক্কার শটে। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন। ভেঙেছেন বেন ডাকেটের গড়া ১৬২ রানের ইনিংস। এছাড়া বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা প্রথম আফগান তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও একমাত্র আফগান হিসেবে পেলেন সেঞ্চুরি। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ