‘ছাত্রদল চাইলে দেশে কোন গুপ্ত সংগঠনের অস্তিত্ব থাকবে না’
Published: 26th, February 2025 GMT
ছাত্রদল চাইলে এ দেশে কোন গুপ্ত সংগঠনের অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশে যারা গুপ্ত রাজনীতি করে, তারা ছাত্রদলের রাজনীতিকে বিশ্বাস করতে পারছে না। ছাত্রদলের ভালো কাজের জন্য গুপ্ত সংগঠন গুপ্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের ক্যাম্পাস কমিটিগুলো দুই সদস্য, তিন সদস্য হয়ে থাকে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারে না। ছাত্রদল যদি মনে করে এ দেশে কোন গুপ্ত সংগঠনের অস্তিত্ব রাখবে না, ছাত্রদল তা বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখে।”
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনে সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “কেউ কোনদিন বলতে পারবে না, ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল দ্বারা কেউ সামান্যতম প্রভাব প্রতিপত্তির শিকার হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি করছি আমাদের অভিজ্ঞতার বলে। ছাত্রদলের মতো তাদের কোন সৎ সাহস নেই যে, তারা প্রকাশ্যে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের আদর্শকে বিলিয়ে দেবে, প্রচার করবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে। যে বা যারাই এই ইতিহাসকে পরিবর্তন করতে চাইবে, ভূলুণ্ঠিত করতে চাইবে, তাদের আপনাদের প্রতিহত করতে হবে।”
জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীক।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প ত স গঠন ছ ত রদল র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো। আইএমএফের প্রভাবে বাজেটে স্থানীয় শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প সাহেবকে খুশি করার চেষ্টা ছিলো এই বাজেটে।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেটে আয়ের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির কাছে আমাদের যে ক্ষতিপূরণ তা আদায় করতে হবে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণে সম্পদ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোন সরকারই চেষ্টা করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্লডের কাছে ছেড়ে দেওয়া তো শেখ হাসিনার প্রকল্প ছিল। ড. ইউনুস কেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন?
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের বাজেটে সেই পরিবর্তনের সূচনা ঘটানোর কথা নেই। সম্পদ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের কাছ থেকে গিয়ে কিছু মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। এবারের বাজেটেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে প্রতারণা ও অস্বচ্ছতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অব্যাহত থাকুক আমরা চাই না। আগামী ২২ জুন বাজেট অনুমোদনের আগে এর ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বাজেটে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির ন্যূনতম উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ার ড. গোলাম রসুল বলেন, সত্যিকার অর্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেটে তেমন কিছু নেই। কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। কৃষিকে আমরা নানাভাবে আন্ডার ভ্যালু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার জনপ্রতি বাজেট বেড়েছে ২২ টাকা।
ট্রাম্পের পালটা শুল্ক বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বুঝেও না বুঝার ভান করছে। এটা আমাদের বিশাল বিপদে ফেলবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহা মির্জা, চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশীদ, লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।