ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অভিন্ন অবস্থানে মস্কো-তেহরান
Published: 26th, February 2025 GMT
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে মস্কো ও তেহরান। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মঙ্গলবার ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এই অবস্থানের কথা জানান।
লাভরভ তেহরানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তাঁরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিসহ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’ ঘিরে যে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে, তা নিয়ে অভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে জেসিপিওএ সই করে ইরান। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও রাশিয়া। এই চুক্তির আওতায় ইরান থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। অন্যদিকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ শুরু করেছিল তেহরান। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। তখন থেকে চুক্তিটি একধরনের বাতিল হয়ে যায়। পরে জো বাইডেন চুক্তিটি পুনরায় শুরুর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
তেহরানে পৌঁছার পর এর আগে লাভরভ বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তিকে ঘিরে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা এখনো কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা যায়।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসি গত সপ্তাহে বলেছেন, জাতিসংঘের চাপ সত্ত্বেও ইরান উচ্চ হারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে। দেশটি যে হারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, তা বাণিজ্যিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুনইরান সফরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কী আলোচনা হবে১৪ ঘণ্টা আগেতবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গ্রোসি বলেছিলেন, গত বছরের শেষের দিক থেকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের গতি কিছুটা কমিয়েছে ইরান। কিন্তু এরপরও প্রতি মাসে প্রায় সাত কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে দেশটি।
ইরান বারবার দাবি করেছে, তাদের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য নেই। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো দেশ এত বেশি পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে না।
আগামী মাসে গ্রোসির তেহরান সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। চলতি বছরে এটাই তাঁর প্রথম ইরান সফর।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে সম্প্রতি গভীরতর হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা দিচ্ছে ইরান। গত জানুয়ারি মাসে দুই দেশ একটি কৌশলগত চুক্তি সই করেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।