জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। তরুণদের নতুন এই দলের নামের ইংরেজি রূপ হবে ‘ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি’ (এনসিপি)। আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েতের লক্ষ্য রয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের।

নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ও অর্গানোগ্রাম (কাঠামো) নির্ধারণ এবং আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ সাতটি পদে কারা আসছেন, সেসব নাম চূড়ান্ত হয়। একই সঙ্গে দলের নাম (জাতীয় নাগরিক পার্টি) চূড়ান্ত করা হয়।

নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় এই পদের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন তা গতকালের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিবের দায়িত্ব একজন নারীকে দেওয়া হতে পারে।

এই বৈঠকে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে নতুন দলের প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল), সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও সালেহউদ্দিন সিফাতকে দপ্তর সম্পাদক পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে। নাসীরুদ্দীন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক, সারজিস মুখ্য সংগঠক ও সালেহউদ্দিন সহমুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে হাসনাত আবদুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও আবদুল হান্নান মাসউদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আরও পড়ুনতরুণদের দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, শীর্ষ আট পদে নাম চূড়ান্ত১৫ ঘণ্টা আগে

নতুন এই দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন মো.

নাহিদ ইসলাম। দলে সদস্যসচিবের পদ পাচ্ছেন আখতার হোসেন। তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, বিএনপি, সিপিবি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নতুন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় এই পদের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন তা গতকালের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিবের দায়িত্ব একজন নারীকে দেওয়া হতে পারে। এই পদের জন্য আলোচনায় আছেন তাসনিম জারা, নাহিদা সারোয়ার (নিভা), মনিরা শারমিন ও নুসরাত তাবাসসুম। তাঁদের মধ্যে তাসনিম জারা ও মনিরা জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাহিদা সারোয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য। আর নুসরাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন) গিয়ে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিদল। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ ও নুসরাত তাবাসসুম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা এস এম সাইফ মোস্তাফিজ। পরে ফেসবুকে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার ছবি পোস্ট করেন হান্নান।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মিডিয়া সেল সূত্র জানায়, বিএনপি, সিপিবি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বেশির ভাগ মানুষ নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। যে কারণে ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’ নামটি বেশি আলোচনায় ছিল। তবে এই নামের সংক্ষিপ্ত রূপ কেউ কেউ ‘বিএনপি’ করতে পারে এমন চিন্তা থেকে শেষ পর্যন্ত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ বেছে নেওয়া হয়।

জনমত জরিপের আলোকে দলের নাম নির্ধারণ

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির যাত্রা শুরু হয়। এই দুই প্ল্যাটফর্মের যৌথ উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে। অবশ্য দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দলের বিষয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে জনমত জরিপ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। অনলাইনের পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত (প্রশ্নোত্তর) সংগ্রহ করা হয়। জরিপে দুই লাখের বেশি মানুষ মতামত দিয়েছেন।

জরিপে নতুন দলের নাম কী হতে পারে, সে বিষয়ে মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগ মানুষ নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। যে কারণে ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’ নামটি বেশি আলোচনায় ছিল। তবে এই নামের সংক্ষিপ্ত রূপ কেউ কেউ ‘বিএনপি’ করতে পারে এমন চিন্তা থেকে শেষ পর্যন্ত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ বেছে নেওয়া হয়।

প্রথমে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। অবশ্য পরে প্রস্তুতির জন্য আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আরও দুই দিন পিছিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করার সিদ্ধান্ত হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই দিনক্ষণ জানান সারজিস আলম।

বড় জমায়েতের লক্ষ্য

আজ বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বড় জমায়েত করতে চান জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অনুষ্ঠানটি বেলা তিনটায় শুরু হবে।

গতকাল রাতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা অংশ নেবেন। এ ছাড়া দেশের ৬৪ জেলা থেকেই মানুষ আসবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। বেলা তিনটায় শুরু হয়ে সন্ধ্যার আগেই অনুষ্ঠান শেষ হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ য ষ ঠ য গ ম সদস যসচ ব ম খ য স গঠক দল র ন ম ন ত হয় দল র জ র জন য গতক ল আসছ ন ব এনপ ইসল ম আবদ ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’

সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অনাহারে মৃত্যু ১৫৪

গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।

গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।

বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।

গাজায় স্টিভ উইটকফ

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ