ইফতার হওয়া চাই স্বাস্থ্যকর। কোনোভাবেই বাইরের তৈলাক্ত খাবার ইফতারে খাওয়া উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইফতারে বেশি ভারী খাবার গ্রহণ করলে রাতের খাবার খাওয়ায় অনিহা তৈরি হয়। তাহলে ইফতারে কি খাওয়া উচিত? এবিষয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের সিনিয়র পুষ্টিবিদ কামরুন আহমেদ।

কামরুন আহমেদ বলেন, ‘‘ইফতারে সাধারণত আমরা পেঁয়াজু, বেগুনি, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত ছোলা, আলুর চপ ইত্যাদি খেয়ে থাকি। এগুলো না খেয়ে স্যুপ, দই-চিড়া, মুড়ি, কম মশলা দিয়ে রান্না ছোলা রাখতে পারেন মেন্যুতে। এ ছাড়া ইফতারে ফল খাওয়া উচিত। ফলের মধ্যে রাখতে পারেন, তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি। ফলের জুস, মিল্ক শেক ইত্যাদিও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে শরবত রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে চিনি যেন কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খেজুর ইফতারের জন্য চমৎকার একটি খাবার। ইফতারের সময় এই খাবারটি অবশ্যই রাখুন। এটি শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে।’’

ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করা জরুরি—
কামরুন আহমেদের পরামর্শ, ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি কমপক্ষে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত এ পুরো সময়ে চা, কফি, কোল্ডড্রিংকস না খাওয়াই ভালো। এতে পানিশূন্যতা হয়।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্যে পৌঁছাতে যে কয়টি নিয়ম মানতে পারেন

রোজা রাখলে শরীরে যেসব পরিবর্তন আসে 

আদা, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা, লেবু, শসা, টমেটো একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এসব খাবার শরীরে খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। 

ইফতারিতে পাতলা খিচুড়ি ও হালিমও খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য এটি উপকারি। এ ছাড়া বিটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। যেমন গাজর, মিষ্টি আলু, বিট এবং জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম, ডাল, গমজাতীয় খাবার, ওটস ইত্যাদি। এগুলো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

ইফতারিতে আলাদাভাবে টকদই রাখতে পারেন। এটি শ্বাসযন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অনেকে সালাদ, ছোলা ও মুড়ির সঙ্গে টকদই খান।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইফতারে মুখরোচক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে ইফতারিতে সাধারণ খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে বাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ, বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতলী গ্রামের হাবিব উল্লাহ (৫৫), তাঁর ৯ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ এবং রামুর পূর্ব রাজারকূল গ্রামের বাসিন্দা রিমঝিম বড়ুয়া (৪৩)। তাঁরা বাসের যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পূরবী পরিবহনের। সেটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল কাভার্ড ভ্যানটি। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ।

রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত ১০ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মুখোমুখি সংঘর্ষে মহাসড়কের পাশে উল্টে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি

সম্পর্কিত নিবন্ধ