নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে একটি সফল টূনামেন্টের পরিসমাপ্তি ঘটলো। প্রায় দুই মাস আগে আমরা এই মাঠে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছিলাম। পুরো টুর্নামেন্ট শেষ করে আজ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপি`র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো স্মরণে এতো সুন্দর একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজকদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি । এখন থেকেই প্রতিবছর এই আয়োজন করা হবে যেনো কোমলমতি শিশু কিশোর যুব সমাজ মাদক এবং কিশোর গ্যাং থেকে মুক্ত থাকতে পারে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের উদ্যোগে এবং ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র সভাপতি এডভোকেট শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাসদাইয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই আয়োজন করা হয়।

এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, যার নামে টূর্নামেন্ট সেই আরাফাত রহমান কোকো`কে অত্যাচার করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। শহীদ আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন ক্রীড়া সংগঠ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে ক্রিড়া ক্ষেত্রের সবগুলো বিভাগে তিনি উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলাকে রাজনীতির মধ্যে ঢুকিয়ে খেলোয়ারদেরকে ধ্বংষ করা হয়েছে। সাকিব আল হাসান, মাশরাফিদের সুন্দর ক্রিকেট ক্যারিয়ার গুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে তাদেরকে রাজনীতির সাথে জড়িত করে। করে। তাই আমি বলতে চাই, খেলাধুলাকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখুন।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের সভাপতিত্বে এবং ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি`র সভাপতি এডভোকেট শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। 

আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর খান চঞ্চল, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল আরিফ, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আসমা হেলেন বিথী, সাবেক কার্যকরী সদস্য এডভোকেট আদনান মোল্লা, এডভোকেট সুইটি রহমানসহ ক্রীড়ামোদী সাধারণ মানুষ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আর ফ ত রহম ন ক ক ন র য়ণগঞ জ র জন ত র এডভ ক ট সদর থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার