সিরাজগঞ্জে নতুন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
Published: 28th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জে পদবঞ্চিত জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে স্থগিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে ঘোষণা করা কমিটির শীর্ষ পদগুলোতে কোনো পরিবর্তন নেই। তবে সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৩৭২ জনের কমিটিতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিককে মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটিতে আসির ইস্তেসারকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, জাহিদ হাসানকে সিনিয়র যুগ্মসচিব, যুবাইর আল-ইসলামকে সিনিয়র মুখ্য সংগঠক ও সাদিয়া আহমেদকে সহ-মুখপাত্র করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটির পরিসর বাড়িয়ে ৩৩ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ৪৯ জনকে যুগ্ম-সদস্যসচিব, ৬৩ জনকে সংগঠক ও ২১৮ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ২৮৪ সদস্যের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ওই কমিটিতে পদ না পেয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে কঠোর আন্দোলন শুরু করেন জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কিছু শিক্ষার্থী। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সই করা এক জরুরি নোটিশের মাধ্যমে ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়। এতে পদ বঞ্চিতরা উল্লাস করলেও পদে থাকা শিক্ষার্থীরা কমিটি বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে কিছু সময়ের জন্য রেলপথ অবরোধ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী