আসন্ন গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুম এবং পবিত্র রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাশ্রয়ী হতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রোববার বিকেলে কাকরাইল সার্কিট হাউস মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একথা বলেন। পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই মতবিনিময় করা হয়।

মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের কারণে যাতে আর কোনো কষ্ট না হয় তার জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা লাগবে।’

এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামানোর জন্য অনুরোধ করে তিনি বলেন, তা না হলে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হতে পারে। মসজিদ ছাড়াও বাসা-বাড়ি, দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে যাতে অতিরিক্ত আলোকসজ্জা এবং অপ্রয়োজনীয় ফ্যান–লাইট না চলে, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশে জ্বালানি সংকট রয়েছে। গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। চাহিদা পূরণে জ্বালানি আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। গরমকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা বেড়ে ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়ায়। সেচের জন্য দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়্র। সেচ বন্ধ করা সম্ভব নয়, এতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। বাকি পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট প্রয়োজন হয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও অতিরিক্ত আলোকসজ্জায়। এজন্য এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে বেধে দেওয়া হয়েছে। 

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত এক কার্গোসহ মোট চার কার্গো জ্বালানি আমদানি করা হচ্ছে। জনগণ যদি সচেতন হয় এবং অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে, তাহলে এই রমজান মাসে কোনো লোডশেডিং হবে না।

অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গ্যাসের মতো বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট র জন য রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাফকো সার কারখানায় গ্যাস বিক্রির চুক্তি সই
  • গ্যাস অপচয়ে বছরে ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি: পেট্রোবাংলা
  • পাবনায় আগাম পাটের বাজার চড়া, বেশি দাম পেয়ে কৃষক খুশি
  • পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির যুগ কড়া নাড়ছে দরজায়
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধে জয় হচ্ছে বোয়িংয়ের
  • বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি অসম্ভব উদ্বেগের জায়গায় যাচ্ছে