নামাজ পড়া খুব সহজ একটি কাজ। গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নেই, অর্থ ব্যয়ের ভয় নেই। একজনের নামাজের জন্য মাত্র কয়েক ফুট জায়গার দরকার হয়, জায়নামাজেরও দরকার নেই। দরকার পবিত্র জায়গা, তবে অপবিত্র জায়গার চেয়ে পবিত্র জায়গাই আমাদের থাকে বেশি।
নামাজ ইসলামের একেবারে প্রাথমিক একটি ইবাদত। ইবাদত অর্থ বন্দেগি, মানের বান্দার কাজ। বান্দা মানে গোলাম, দাস। নিজেকে মুসলমান মেনে নেওয়ার অর্থ হলো, আল্লাহর বান্দা হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া। নিজেকে আল্লাহর দাস ভাবা। নামাজ পড়া মানে এই দাসত্বকে দৈহিক বিভিন্ন ভঙ্গিমায় প্রকাশ করা।
মুজিব পরদেশীর গানে আছে, ‘হইতাম যদি দেশেরও দেশি, ওই চরণে হইতাম দাসী গো।/ আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম গো, বন্ধু, শুনতাম না কারও মানা।’ এমন বহু গান-কবিতায় এবং বহু বাস্তব ও পরাবাস্তব গল্পেও আমরা প্রিয়জন-প্রেয়সীর দাসানুদাস হওয়ার আকুতির কথা শুনি। তো প্রেমের মোহে মানুষ যেখানে তুচ্ছ মানুষের দাসী হতে রাজি, সেখানে মহান প্রভু, যাকে ভালোবাসা শুধু বিবেকের দাবি বলে জটিল করা যায় না, বরং ভালোবাসাটা স্বভাবতই এসে থাকে, তার দাসত্ব বললে কঠিন মনে হবে কেন?
আরও পড়ুনতাহাজ্জুদ নামাজের উপকার০১ জানুয়ারি ২০২৫এই যে ধরুন, আজ দুপুরে মসজিদে নামাজে দাঁড়িয়েছি, জানালা গলে রোদ আসছে, শেষ শীতের রোদ। আরামে উষ্ণতায় ভালো লাগা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেহে। কী মনে হয়, ভালোবাসা জাগছে না? হৃদয়ের অন্দর থেকে উথলে উঠছে না প্রেম? প্রভুর সঙ্গে এই প্রেমের অনুভূতি কাউকে শেয়ার করা যায় না। নামাজ মুমিনের মিরাজ। প্রভুর সঙ্গে কথা বলার, দেখা-সাক্ষাৎ করে আরজি পেশ করার মওকা। উপরন্তু নামাজের পার্থিব উপকারিতাও আছে অযুত। স্বাস্থ্যের ও মনের উপকারিতা ছাড়াও অলৌকিক বহু কিছু লাভ করার প্রতিশ্রুতি আছে।
তারপরও যারা নামাজকে হেলা করেন, অল্প একটু ‘অসুবিধা’, ধরুন, গাড়িতে উঠতে পাঁচ মিনিট দেরি হবে, কাঁচা ঘুম ভেঙে যাবে, ভাল্লাগছে না এখন ইত্যাকার নানান অজুহাতে নামাজ ছেড়ে দেন অহরহ এবং নিজেকে ভালো মুসলিম দাবি করেন, ইসলামের বড় বড় খেদমতের জন্য হাপিত্যেশ করেন, গলাবাজি করেন রাস্তায়, মিছিলে, টেলিভিশনে, তারা কি প্রকারান্তরে হাস্যকর দাবিটাই করছেন না?
আরও পড়ুনজামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব০৫ জানুয়ারি ২০২৫এত সহজ, এত ভালো, এত নিষ্কণ্টক একেবারে প্রাথমিক কাজটা আপনি করছেন না, আবার আফগান-ফিলিস্তিন টাইপের বিরাট বিরাট শিখরসম ঝুঁকির কথা বলেন, অর্থসংকটের কারণে বিরাট ইসলামি সেবা আঞ্জাম দিতে পারছেন না বলে আফসোস করেন—আপনি কেন সহজ নামাজ পড়ছেন না, বলুন তো? তেমন অর্থসুবিধা পেলেও কি আপনি দাসত্বের কাজ করবেন? নাকি করবেন পেট পোরার ধান্দা। কঠিন পরিস্থিতি এলে আপনি কাপড় সামলে পালাবেন আর বলবেন জান বাঁচানো ফরজ। অর্থাৎ আর যাই হোক, পার্থিব কিংবা পারলৌকিক যে কাজই আপনি করেন, ওটা আল্লাহর জন্য করছেন না, এটা নিশ্চিত। শেখ সাদি বলেছেন, যে নামাজ পড়ে না, তাকে ঋণ দিয়ো না। যে আল্লাহর সহজতম হক আদায়ে যত্নবান নয়, সে তোমার হক আদায়ের প্রতি মোটেও ভ্রুক্ষেপ করবে না ।
ড.
যিনি নামাজ পড়েন, তিনি নিমগ্ন হয়েই পড়েন। যিনি নামাজে নিমগ্ন থাকেন না, বিনয় ও যত্ন যার নামাজে নেই, তিনি আসলে কেবল অভ্যাসের চর্চা করেন, নামাজ পড়েন না । কাকের মতো ঠোকর দেওয়া নামাজের কথা না-হয় বাদই দিলাম। ফাওয়াইলুল্লিল মুসল্লিন...দুর্ভোগ সেসব নামাজির, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর। (সুরা মাউন, আয়াত: ৪-৫)
আশ্চর্যের বিষয় হলো, একজন সাধারণ মুসলিম নামাজের প্রতি যতটা যত্নবান, শিক্ষিত মুসলিমদের আকছার ততটা নয়। পাশে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও অনেক আলেম বাসা-বাড়িতে কিংবা নিজের কর্মস্থলে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন, জামাত তরক করেন অহরহ। অথচ একজন ফুটপাথের দোকানিকে দেখা যাবে বছরভর তিনি জামাত ত্যাগ করেন না।
সাধারণ একটি কাজ, যা করতে মোটেও কষ্ট নেই, এমনকি অফিস যেতে বাসে চড়তে যতটুকু হাঙ্গামা তা-ও নেই, কাজের মধ্যে একটু বিরতি, অবসাদে একটু বিশ্রাম, পার্থিব ঝঞ্ঝাট ছেড়ে মনন-মানসকে অপার্থিব আলোয় স্নাত করার আনন্দ, কিছুর কমতি নেই এখানে। বাতাসের মতো মুফত পাওয়া একটা বিশাল নেয়ামতই বটে। সম্ভবত এ কারণেই এত কিছুর পরেও যারা নামাজ পড়ে না, তাদের জন্য কঠোর সব হুঁশিয়ারি বার্তা এসেছে। সাহাবিরা নামাজ হেলাকারীকে মুনাফেক ভাবতেন। হাদিসে মুসলিম-অমুসলিমের তারতম্য দেখানো করা হয়েছে নামাজকে কেন্দ্র করে। ওমর (রা.) বলেছেন, যার নামাজ নেই, তার দীন নেই, ইসলামে তার কোনও স্থান নেই। নবীজি (সা.) জীবন-সায়াহ্নে খুশি হয়েছিলেন সাহাবিদের সারিবদ্ধ নামাজ দেখে। শেষ উক্তিও ছিল তার—নামাজ নামাজ...।
যুদ্ধকালেও বিশেষ পদ্ধতিতে নামাজ পড়তে হয়। সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকলেও নামাজ পড়া যায়। যতক্ষণ বিবেক-বুদ্ধি ঠিক আছে, ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করা যায় না। এতে কি প্রকারান্তরে এটাই ফুটে ওঠে না যে, নিয়মিত নামাজ ত্যাগ করার ফলে ধীরে ধীরে বুদ্ধির সুস্থতা হারিয়ে ফেলে মানুষ? নামাজ ত্যাগকারীকে আকাশ ও পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী অভিশাপ দেয় বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। সুফিরা বলেন, তার চোখের দৃষ্টিও হয় অন্যের জন্য ক্ষতিকর।
আরও পড়ুনঅর্থ বুঝে নামাজ পড়ার ফজিলত১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নামাজির জন্য আরশের দুয়ার খুলে যায়। যার হৃদয়ে নামাজের ব্যাকুলতা থাকে, সে আল্লাহর প্রতিবেশিত্ব অর্জন করে, তাঁর পরিজনে পরিণত হয়। আকাশের বরকত তার জন্য উন্মোচিত হয়। প্রভু খুশি হন। তার সঙ্গে সংলাপ করেন নামাজেই। একেবারে কাছে এসে সাড়া দেন তার প্রতিটি প্রশ্নে ।
নামাজ আলো। অন্ধকার ঘরে যেমন আলো জ্বাললে ভেতরের সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায়, তেমনি নামাজের আলোয় অতীত জীবনের সকল ভুল-ভালো পরিষ্কার হয়ে ধরা দেয়। ভুলে অনুশোচনা তৈরি হয় এবং ভালো কাজের প্রেরণা ফিরে আসে। এইভাবে শুদ্ধতার দিকে এগিয়ে চলে নামাজি। ইন্নাস সালাতা তানহা...নামাজ অশোভন ও অনুচিত কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে তাকে। আত্মার প্রাচুর্য ও প্রশান্তিময় জীবন পেয়ে সে বিত্তবান মানুষেরও ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়।
বন্দরে, স্টিমারে, হাটে-বাজারে, যানবাহনে কাউকে নামাজের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে বললে কখনো না করে না কেউ। লোকজনের মধ্যে কেমন যেন কৌতূহল ও শ্রদ্ধা ভীতি উপচে পড়ে। নামাজ না পড়েও এক ধরনের ‘মুসল্লি’ ভাব তাদের মধ্যে বিরাজ করে। এতে করে প্রভুর প্রতি সম্মান বোঝা গেলেও প্রভুর দাসত্ব আদায় হয় না। নামাজ তো স্বর্গ-নরকেরও তোয়াক্কা করে না, সে শুধু প্রভুর সঙ্গে দাসের আলিম্পন হতে চায়। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির প্রেম রচনা করতে চায়। নইলে নামাজ কেবল দৈহিক ব্যায়াম ছাড়া আর কোনো অর্থ বয়ে আনবে না।
আমাদের নিত্যদিনের যন্ত্রণা বিধুর জীবনে নামাজ আসুক শ্রাবণের মতো ঝর ঝর বর্ষা হয়ে, যেন সকল ক্লেদ-পঙ্কিলতা ধুয়ে নিতে পারে। আসুক শীতের কুয়াশা ভেদ করা সূর্যের মতো রংধনু হয়ে, যেন ব্যথার উপশমে উষ্ণতার উপাদান হয়, আসুক শরতের পেঁজা মেঘ আর কাশফুলের মুগ্ধতা নিয়ে, হেমন্তের মিষ্টি-মিঠাই আর বসন্তের ফুলেল উৎসব হয়ে। যেন গ্রীষ্মের প্রখরতার চেয়েও তেজস্বী হয় আমাদের নামাজ। সারা বছরের প্রতিটি দিন যেন আমরা নামাজের আস্বাদ নিয়ে বাঁচতে পারি। সময়ের মতো নামাজও হোক আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমিন।
আরও পড়ুনযেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এল১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র র জন য ইসল ম উপক র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস
স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়ার প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক ঘোষণাপত্রের অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে সংগঠনটি এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারির অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে হামাসকে (এই উপত্যকায়) তার শাসনের অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ ও সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের সঙ্গে এটি সংগতিপূর্ণ।’
সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স ও মিসরসহ ১৭টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ ঘোষণাপত্রটি সমর্থন করেছে। এটি ‘দ্য নিউইয়র্ক’ ঘোষণাপত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার আলাদা এক বিবৃতিতে প্রতি শুক্রবার, শনিবার ও রোববার বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্র দেশগুলোর দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
অনাহারে মৃত্যু ১৫৪গাজায় কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, উপত্যকাটিতে অনাহারে আরও দুই শিশু এবং এক তরুণ মারা গেছে। এ নিয়ে সেখানে অনাহারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৪ জনে। তাদের মধ্যে শিশু ৮৯টি।
গাজায় প্রায় ২১ লাখ মানুষের বসবাস। উপত্যকাটিতে গত মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে পারছিল না। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে গাজায় সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এই ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।
ত্রাণ নিতে প্রাণহানি ১৩৭৩জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ আনতে গিয়ে মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে। গত মে মাসের শেষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি ইসরায়েলি সেনাদের সহায়তায় গাজার কয়েকটি স্থানে ত্রাণ দিচ্ছে।
বাকি ৫১৪ জন মারা গেছেন ত্রাণবাহী ট্রাকের আশপাশে। তাঁরা ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অধিকাংশই ইসরায়েলের সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে গাজায় অন্তত আরও ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। এই নিয়ে প্রায় ২২ মাসের সংঘাতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হামলা নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৩২ জন।
গাজায় স্টিভ উইটকফশুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজা সফর করেছেন। তিনি উপত্যকাটির রাফা এলাকায় জিএইচএফের একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রও ঘুরে দেখেন। এ সময় ইসরায়েলে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁরা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাজায় ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইটকফ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। আগের দিন তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উইটকফ বলেছেন, ‘মাঠের পরিস্থিতি বুঝতে ও তথ্য সংগ্রহ করতে আমরা গাজায় গিয়েছিলাম। গাজার মানবিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ধারণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য, যাতে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত ও আবাসন খাতের সাবেক আইনজীবী উইটকফের আন্তর্জাতিক নীতি ও মানবিক সহায়তা-সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তা সত্ত্বেও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও কূটনীতি চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।