পাকিস্তান বিরল ক্রিকেট—৩ বলে আউট ৪ জন, সৌদ শাকিল টাইমড আউট
Published: 5th, March 2025 GMT
একজন ব্যাটসম্যানের টাইমড আউট হওয়াই বিরল ঘটনা। সেই টাইমড আউটের আগে–পরে মিলিয়ে কারণে মাত্র ৩ বলেই যদি ৪ ব্যাটসম্যান আউট হন, সেটাকে কী বলবেন!
বিস্ময়কর এ ঘটনাই ঘটেছে পাকিস্তানে। তা–ও যেনতেন টুর্নামেন্টে নয়। পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া প্রতিযোগিতা প্রেসিডেন্ট ট্রফি গ্রেড ওয়ানের ফাইনালে। আর টাইমড আউট হওয়া ব্যাটসম্যানটিও বেশ পরিচিতই—সৌদ শাকিল। কদিন আগেই যিনি আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছেন।
পাকিস্তান দল আগেভাগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নেওয়ার পর কয়েকজন খেলোয়াড় নেমে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রফির ফাইনাল খেলতে। মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু ম্যাচে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) মুখোমুখি হয় পাকিস্তান টেলিভিশন (পিটিভি)। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা এসবিপি ৮৭ রানে প্রথম উইকেট হারালে ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক উমর আমিন।
তবে তিনে নামা উমর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬ রান করে বোল্ড হন মোহাম্মদ শাহজাদের বলে। ঠিক পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অভিজ্ঞ ফাওয়াদ আলম।
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামার কথা ছিল শাকিলের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে ৬২ রান করা এই ব্যাটসম্যান নামতে দেরি করছিলেন।
উইজডেনের খবরে বলা হয়, ফাওয়াদ আউট হওয়ার পর চার মিনিট পেরিয়ে গেলেও শাকিল ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসেননি। নিয়মানুযায়ী আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন। ছেলেদের পেশাদার ক্রিকেটে এটি টাইমড আউটের নবম ঘটনা।
আরও পড়ুনআইসিসির কাছে বলে থুতু ব্যবহারের সুযোগ চান শামি১ ঘণ্টা আগেশাকিলের টাইমড আউট হওয়া উইকেটটি বোলারের ছিল না। পিটিভির শাহজাদ তখনো হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায়। পরবর্তী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন মোহাম্মদ ইরফান খান।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শাহজাদের হ্যাটট্রিক বলে গড়বড় করে ফেলেন। তাঁকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শাহজাদ। জন্ম হয় বিরল এক ঘটনার—তিন বলের মধ্যে চার ব্যাটসম্যান আউট। যে তিন বলের মধ্যে কোনো ওয়াইড, নো বা অতিরিক্ত বল ছিল না।
হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ শাহজাদ (ডান থেকে তৃতীয়)।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন আউট হওয় শ হজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।
দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।
মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ