ক্ষোভে বলিউড ছাড়ার ঘোষণা দিলেন অনুরাগ
Published: 6th, March 2025 GMT
বলিউডে একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা ও সিরিজ উপহার দিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। তার কাজের ভক্তের সংখ্যাও নেহাত মন্দ নয়। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এই নির্মাতা। গত বছর অনুরাগ জানান, তিনি দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এবার এক সাক্ষাৎকারে, বলিউডকে ‘টক্সিক’ বললেন তিনি। সঙ্গে বলিউড ছাড়ারও ঘোষণা দিলেন।
অনুরাগ কাশ্যপের মন্তব্য, ‘হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ একেবারে টক্সিক। সকলে বক্স অফিস অঙ্কের পিছনে ছুটছে। সবার কোটির ক্লাবের দিকে নজর। এই ইঁদুর দৌড়ের জেরে সৃজনশীলতা নষ্ট হচ্ছে।’ যে কারণে রাগে-ঘৃণায় বলিউড ছাড়ার বিস্ফোরক ঘোষণা ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’ পরিচালকের।
মাস দুয়েক আগেই বলিউড ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুরাগ। সেইসময়েই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ এবং কাজের ধরন নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এবার বলিউড ছেড়ে পাকাপাকিভাবে দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিতে শিকে ছিঁড়লেন পরিচালক।
সম্প্রতি এক বলিউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুরাগ কাশ্যপ জানিয়েছেন, ‘আমি ফিল্মি লোকজনদের থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে চাই। ইন্ডাস্ট্রিটা এত টক্সিক হয়ে গেছে। সকলে অলীক একটা লক্ষ্যের দিকে ছুটছে। সকলের ৫০০-৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা চাই। সৃজনশীল পরিবেশ একেবারে নেই বলিউডে।’
জানা গেছে, মুম্বাই ছেড়ে এখন থেকে বেঙ্গালুরুতেই থাকবেন অনুরাগ। মাস দুয়েক আগে বলিউডের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার পরই তিনি নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সৃজনশীল ভাবনায় অনুরাগ মুগ্ধ। নির্মাতার কথায়, ‘দক্ষিণের কাজ দেখলে আমার হিংসে হয়। আমার পক্ষে এখন আর বাইরে গিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা সম্ভব নয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ড স ট র ন অন র গ
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ