জেমস হাওয়েলস। বয়স ৩৯ বছর। তিন সন্তানের জনক। অবাক করা ব্যাপার হলো, একটা ভাগাড় কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তাঁর এই পরিকল্পনায় চিন্তায় পড়ে গেছেন অর্থনীতিবিদ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিদেরা। সত্যিই তো, এত কিছু থাকতে এই লোক কেন ভাগাড় কিনতে চাইছেন?

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। ওয়েলসের দক্ষিণ-পশ্চিম তীরের নিউপোর্ট শহরে। জেমস হাওয়েলসের ব্যবসায়িক অংশীদার এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে একটা অতিপ্রয়োজনীয় হার্ডড্রাইভ ফেলে দিলেন ভুল করে। সেই হার্ডড্রাইভ খুঁজে বের করার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেমস। শুরু থেকেই ভাগাড় খননের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে কর্তৃপক্ষ। নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের তরফ থেকে এই ঘাঁটাঘাঁটির অনুমতি মিলছে না। কাউন্সিলটি বলছে, ভাগাড়ের আবর্জনা খনন করতে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আদতে একজনের ব্যক্তিগত আগ্রহে এমন একটা কাজের অনুমতি দিতে যে তাঁরা রাজি নন, সেটিও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট।

বিটকয়েন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো দুই পুলিশ। 

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার কিছু পর এক পারিবারিক বিরোধের তদন্তে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে পুলিশ। খবর বিবিসির। 

আরো পড়ুন:

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ও থানায় হামলা, ভাঙচুর-আগুন

পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের কমিশনার কর্নেল ক্রিস্টোফার প্যারিস জানান,  অভিযুক্ত বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে।

গুলির ঘটনার পর ইয়র্ক কাউন্টির নর্থ কোডোরাস টাউনশিপের স্প্রিং গ্রোভ এলাকার একটি স্কুল জেলা সাময়িকভাবে ‘শেল্টার ইন প্লেস’ ঘোষণা করে। তবে পরে জানানো হয়, স্কুল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসাধারণের জন্য বর্তমানে কোনো সক্রিয় হুমকি নেই। এ ঘটনা ঘটে ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিমি) পূর্বে অবস্থিত ইয়র্ক কাউন্টির এক গ্রামীণ এলাকায়। 

তারা বলছে, আগের দিন শুরু হওয়া একটি তদন্তের অংশ হিসেবে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোশ শাপিরো বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, “আমরা তিনজন মহামূল্যবান প্রাণ হারালাম, যারা এই দেশকে সেবা দিয়েছেন। এই ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজ হিসেবে আমাদের আরো ভালো করতে হবে।”

নিহত তিন কর্মকর্তার সম্মানে গভর্নর শাপিরো রাজ্যের সব সরকারি ভবন ও স্থাপনায় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ