জেমস হাওয়েলস। বয়স ৩৯ বছর। তিন সন্তানের জনক। অবাক করা ব্যাপার হলো, একটা ভাগাড় কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তাঁর এই পরিকল্পনায় চিন্তায় পড়ে গেছেন অর্থনীতিবিদ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিদেরা। সত্যিই তো, এত কিছু থাকতে এই লোক কেন ভাগাড় কিনতে চাইছেন?

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। ওয়েলসের দক্ষিণ-পশ্চিম তীরের নিউপোর্ট শহরে। জেমস হাওয়েলসের ব্যবসায়িক অংশীদার এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে একটা অতিপ্রয়োজনীয় হার্ডড্রাইভ ফেলে দিলেন ভুল করে। সেই হার্ডড্রাইভ খুঁজে বের করার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেমস। শুরু থেকেই ভাগাড় খননের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে কর্তৃপক্ষ। নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের তরফ থেকে এই ঘাঁটাঘাঁটির অনুমতি মিলছে না। কাউন্সিলটি বলছে, ভাগাড়ের আবর্জনা খনন করতে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আদতে একজনের ব্যক্তিগত আগ্রহে এমন একটা কাজের অনুমতি দিতে যে তাঁরা রাজি নন, সেটিও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট।

বিটকয়েন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ