নড়াইলের সদর উপজেলার গোবরা স্ট্যান্ড এলাকায় শিংগাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপি অফিস লক্ষ্য করে তিনটি ‘বোমা’ নিক্ষেপ করেছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হওয়া এ ঘটনায় দলটির তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‍“হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।”

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে মৃত্যু, আটক ৫

বরিশালে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

আহতরা হলেন- শিংগাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও গোবরা গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে বাবু মোল্যা (৬০), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে বিএনপি কর্মী নিউটন গাজী (৪৮) এবং সৈয়দ জাফর আলীর ছেলে বিএনপি কর্মী সৈয়দ ওয়াজেদ আলী টিটো।

এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোবরা নতুন স্ট্যান্ডে শিংগাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপি অফিসে নেতাকর্মীরা বসে ছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলে করে আসা সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাদের লক্ষ্য করে তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরিত হলে বিএনপির তিন নেতাকর্মী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর আহত সৈয়দ ওয়াজেদ আলী টিটোকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসক। 

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

আনিসুর রহমান বোমা হামলায় তিনজন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুইজনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ