২০২৬ বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প
Published: 8th, March 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য গঠিত হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের প্রধান হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সকে কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তবে টাস্কফোর্সের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ করা হবে।
গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাক্ষাতের দিনে এই টাস্কফোর্স গঠন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বছরের জুন–জুলাইয়ে ২৩তম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়।
আরও পড়ুনরোনালদোর গোল নাম্বার ৯২৬: অর্ধেক তাঁর ৩০-এর আগে, অর্ধেক ৩০-এর পরে২ ঘণ্টা আগেইএসপিএনের খবরে বলা হয়, ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল এমন সময়ে হতে চলেছে, যখন উত্তর আমেরিকা মহাদেশে শুল্ক আরোপ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিবেশী প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে।
ট্রাম্প মনে করেন, এতে বিশ্বকাপের উত্তেজনা আরও বাড়বে, ‘আমার মতে, এটা ব্যাপারটাকে আরও উত্তেজনাময় করে তুলবে। টেনশন ভালো জিনিস।’
বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য টাস্কফোর্স নিরাপত্তা ও বিবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ দেখতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। ফিফা অফিশিয়ালদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারা নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য দারুণ সম্মানের বিষয়।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি