বাড়ি থেকে অভিনেত্রী মরদেহ উদ্ধার, মাথায় গুলি চিহ্ন
Published: 8th, March 2025 GMT
নিজ বাড়ি থেকে ‘বেওয়াচ’ ও ‘নাইট রাইডার’ খ্যাত অভিনেত্রী পামেলা বাকের মরদেহ উদ্ধার কথা হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬২ বছর। নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রথমিকভাবে জানিয়েছে বিবিসি।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার হলিউড হিলসের নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় পামেলার নিথর দেহ। লস অ্যাঞ্জেলসের চিকিৎসক পামেলার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, পামেলাকে দীর্ঘক্ষণ ডেকেও যখন সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। রাত ১০ টা নাগাদ পামেলার বাড়িতে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল।
পামেলার মৃত্যুতে তার প্রাক্তন স্বামী ডেভিড হ্যাসেলহফ গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পামেলার মৃত্যুতে আমাদের পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে সকলের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
১৯৮৯ সালে হলিউড অভিনেতা ডেভিড হ্যাসেলহফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পামেলা। দীর্ঘদিনের বৈবাহিক সম্পর্কে থাকার পর ২০০৬ সালে আলাদা হয় দু’জনের পথ। দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে একাই থাকতেন এই অভিনেত্রী।
বলা দরকার, পামেলা বাক ১৯৭০ সালে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনয়ের মধ্যে ছিল সোপ অপেরা ‘দ্য ইয়ং অ্যান্ড দ্য রেস্টলেস’, ‘চিয়ার্স’, ‘দ্য ফল গাই’, ‘টি.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।
মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।
বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ