সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি বললেন, তৃণমূলের মানুষ দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায়
Published: 8th, March 2025 GMT
তৃণমূলের মানুষ দ্রুত জাতীয় নির্বাচন চায় মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। শনিবার বিকেলে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আয়োজনে উপজেলার জিরো পয়েন্ট, মাছবাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইফতার বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে আসতে হবে। নির্বাচনপ্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার অজুহাত তৈরি করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য ও তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করেছে। বিভেদ সৃষ্টি হলে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়বে, যা স্বাধীনতার জন্য হুমকি। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।’
বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অটল রয়েছে উল্লেখ করে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় থাকায় যেকোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।
ইফতার বিতরণ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রাব্বানী। সাধারণ সম্পাদক এম মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কোহিনূর আহমেদ, সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করা হোক এবং প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তবে এই গণভোট অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে, নির্বাচনের পরে নয়।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃতীয় ধাপে তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আবারও রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সে সময়কার দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকা দলগুলো সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেনি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমেই তা সংবিধানে যুক্ত হয়।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়েছিল বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের মাধ্যমে। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এ রায় দেওয়ানো হয়েছিল। তাই বিচার বিভাগকে আবার বিতর্কের মুখে না ফেলে সংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে জামায়াত।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চারটি বিকল্প নিয়ে কাজ করেছে, যার মধ্যে কমিশন সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়িত হতে পারে। এটি আইনিভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি।
এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করার এখতিয়ার সংসদের নেই, এবং এ ধরনের পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই গণভোটের প্রয়োজন হয়।
জামায়াতে ইসলামী জনগণের অভিপ্রায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাই হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন।
জুলাই সনদের যে আদর্শ ও চেতনা, তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত এবং যারা এই আদর্শের পথে হাঁটবে না, জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করেন হামিদুর রহমান আযাদ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ এটি প্রমাণ করে যে এ দেশের তরুণসমাজ ও জনগণ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় এবং জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের পক্ষেই রয়েছে।