বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সহযোগী ও গবেষণা অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: গবেষণা সহযোগী (রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট)
বিভাগ: ডিন অফিস-স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশ/বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ/এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। পরিসংখ্যান/ বায়ো স্ট্যাটিসটিকস/এপিডেমিওলজি বিষয়ে ডিগ্রি থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ২৫,৩৮৩-৬৩,৪৫৬ টাকা

আরও পড়ুনদেশে–বিদেশে পড়াশোনা শেষে ইন্টেলে চাকরি পেলেন হাসান উল বান্না, বেতন বছরে দুই কোটি০৬ মার্চ ২০২৫

২.

পদের নাম: গবেষণা অফিসার (রিসার্চ অফিসার)
বিভাগ: জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউট
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: পরিসংখ্যান বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ২৫,৩৮৩-৬৩,৪৫৬ টাকা

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীদের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার–সংক্রান্ত এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ মার্চ ২০২৫।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অফ স র

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ